আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘির মিতইল গ্রামে বিষপানে মা ও মেয়ের এক সাথে মৃত্যর ঘটনা নিয়ে নানা গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গেছে। গৌতম বর্মন লাকি নামের মুসলিম পরিবারের ওই নারীকে ৭ বছর পূর্বে বিয়ের প্রলোভনে পালিয়ে নিয়ে এলেও হিন্দু কিংবা মুসলিম আইনে বিয়ে না করেই দীর্ঘদিন ঘর সংসার করে এক সন্তানের জন্ম দেয়। বিয়ে করাতে চাপেই নাকি সংসারের অভাবে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

নিহত লাকির কথিত স্বামী উপজেলার মিতইল গ্রামের গৌতম বর্মন জানান, ৭ বছর পূর্বে সে গাজিপুরে একটি গামের্ন্টেসে চাকুরী করা কালে চাকুরীরত গাইবান্দা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোর গ্রামের লাকির সাথে পরিচয়ের পর প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠার পর তাকে পালিয়ে নিয়ে বাড়ী আসে। এরপর থেকে হিন্দু কিংবা মুসলিম বিধান মতে বিয়ে না করেই গ্রামে স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করতো। ১ বছর পর তাকের একটি মেয়ে জন্ম হয়। মেয়ের নাম রাখে সঞ্চিতারানী বর্মন। বর্তমানে ওই মেয়ের বয়স ৬ বছর। গৌতম আরও জানায় লাকিকে নিয়ে আসার পর থেকে কোন দিন তার পিতা মাতা কিংবা আত্মীয় স্বজন এখানে আসেনি। লাকির পিতার নামও জানেনা সে। এদিকে লাকির মৃত্যুর পর এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর গ্রামে নানা প্রশ্ন উঠেছে। স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে দীর্ঘ দিন গ্রামে কি ভাবে বসবাস করলো?
উলেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মিতইল গ্রামের গৌতম বর্মনের কথিত স্ত্রী লাকি ও তার মেয়ে সঞ্চিতা বিষপানে একই সাথে আত্মহত্যা করে।
