ads

বৃহস্পতিবার , ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কোনাখালীর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নির্যাতিত এলাকাবাসীর মানববন্ধন

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৪ ১:৪৪ অপরাহ্ণ

pic.konakali manab bondon-05-02-14এম.আবদুল্লাহ আনসারী পেকুয়া (কক্সবাজার) : চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিদারুল হকের বিরুদ্ধে তার হাতে নির্যাতিত কয়েকশ নারী পুরুষ মানব বন্ধন করে তার বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন। ৫ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪ টার সময় কোণাখালী ইউনিয়নের শহরিয়া চৌমুহনীতে এই মানব বন্ধনের আয়োজন করে স্থানীয় নির্যাতিতরা। মানববন্ধনে উপস্থিত লোকজন অভিযোগ করেন কোণাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিদারুল হক নির্বাচিত হওয়ার পুরো কোণাখালী একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে জমি জবর দখল বিচার বাণিজ্য অপহরণ বাণিজ্য চালিয়ে লোকজনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তার মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে বা তার কথা মতো কাজ না করলে হত্যা করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটালেও তার বিরুদ্ধে প্রশাসন মামলা নেয়না বলে মানব বন্ধনে উপস্থিত লোকেরা আহাজারি করে বলেন। কোণাখালীর মো.শফির ছেলে ওসমানের স্ত্রী ৪টি সন্তান নিয়ে মানব বন্ধনে উপস্থিত হয়ে বলেন, গত বছরের ১৯ এপ্রিল চেয়ারম্যান দিদার তার বাহিনীর লোক দিয়ে তার স্বামী ওসমানকে তার কথা মতো সন্ত্রাসী কাজ না করায় অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করে মাতামুহুরী নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়। আমি চেয়ারম্যান সহ অপরাধীদে বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে থানার ওসি মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করলেও পুলিশ বাস্তবতাকে আড়াল করে চুড়ান্ত প্রতিবেদনে চেয়ারম্যানকে বাদ দিলে আমি এই প্রতিবেদনের নাজারি দিই বর্তমানে চেয়ারম্যান আমাকে এলাকাছাড়া করার প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে। এদিকে কোণাখালীর লতাবুনিয়া এলাকার মো.হোসেনের মেয়ে আক্তারু বেগম সাংবাদিকদের ও মানব বন্ধনে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান দিদারের নিজস্ব বাহিনীর মীর কাশেমের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অপহরণ করে ধর্ষনের অভিযোগ তুলে বলেন, ১১/০১/১৪ থেকে চেয়ারম্যান ৪ দিন তাকে পরিষদে আটকে রেখে ধর্ষণের চ্ষ্ঠো চালিয়ে ব্যার্থ হয়ে ধর্ষন কারীকে নির্দোশ ঘোষনা করলে সে আদালতে মামলা দায়ের করায় প্রতিনিয়ত মামলা প্রত্যাহারের চাপ দিচ্ছে। মো.কালুর ছেলে আমির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ২ ফেব্র“য়ারী বিনা কারণে রাস্তায় থামিয়ে এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে আহত করেছে। তিনিও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ওসি তার মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অসংখ্য লোক মানব বন্ধনে উপস্থিত হয়ে তার বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের গুরুতর অভিযোগ তুলেন তাদের মধ্যে মেম্বার মোস্তাক প্রকাশ বলি মোস্তাকের দুই ছেলে মেসবাহ উদ্দিন ও সালাহউদ্দিন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, তাদের ৬০ শতক জমি কোন অযুহাত ছাড়া তাদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান দিদার কেড়ে নিয়েছে। বাংলাবাজারের শের আলীর ছেলে আবদুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি জবর দখল করে চেয়ারম্যান দিদারের মৎস্য প্রজেক্টের অভ্যন্তরে একাকার করে ফেলেছে। দুএকবার খাজনা নিতে বলে এখন খাজনাও দিচ্ছেনা জমিও দিচ্ছেনা। বিধবা খালেদা বেগম বলেন, পাওনা টাকার জন্যে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দায়ের করলে তার দাবী আদায় করতে না পারায় এখনো তার বিচারের রায় ও পাওনা টাকার একটিও তিনি উদ্ধার করতে পারেননি। ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, রাতের আধারে চেয়ারম্যান দিদার তার কাটা ধান জমি থেকে নিজস্ব বাহিনীর লোকজন দিয়ে নিয়ে যায়, চেয়ারম্যানের মা ও বড় ভাই ধান গুলো তাকে দিয়ে দিলে তিনি নিয়ে আসার পর চেয়ারম্যান আবারো দল বল নিয়ে বাড়ী থেকে গাড়ী ভর্তি করে ধান গুলো নিয়ে যায়। কেন নিয়ে গেছে তার কোন উত্তরও দিচ্ছেনা। অসংখ্য মানুষ অভিযোগ করেন প্রশাসনের নগ্ন সহযোগীতায় চেয়ারম্যান দিদার পুরো ইউনিয়নের মানুষকে জিম্মি করে তার হাতের পুতুল বানিয়ে রাখেছে তার অপকর্মে যারা প্রতিবাদ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রকাশ্য নির্যাতন করেছে। কালও মানব বন্ধন করার পর পর পুলিশ এনে কারা মানব বন্ধন করেছে তাদের খোজ খবর নিয়ে ভিতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। মানব বন্ধনে উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করে মানবাধিকার ও নারী উন্নয়ন মূলক সংস্থা কর্মনীড় চকরিয়া প্রধান শাহানা বেগম বলেন, কোনাখালীর চেয়ারম্যান দিদারের হাতে নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ কেউ নিরাপদ না তাই নির্যাতিতরা একত্রিত হয়ে তার অপকর্মের প্রতিবাদ করছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!