আরিফ মাহমুদ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) : শার্শা উপজেলার বেনাপোল সীমান্ত এখন সোনা পাঁচারের নিরাপদ রুটএ পরিনত হয়েছে। প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে বিভিন্ন মাদক, ভারতীয় শাড়ি, থ্রী-পিচসহ সোনা পাঁচার। ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কঠোর নজরদারি এবং সীমান্তের নিরাপত্তার চাদর ভেদ করে র্নিবিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারিরা। আর এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা থেকে ১৩ টি সোনার বারসহ গোপাল হালদার ( ৪০ ) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যরা। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে তাকে আটক করা হয়। গোপাল হালদার ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ থানা হরিদাসপুর গ্রামের মধুর ছেলে। যশোর ২৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির বেনাপোল চেকপোষ্ট ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ভারতীয় নরাগরিক গোপাল সিএন্ডএফ এর কার্ড দেখিয়ে বাংলাদেশে আসে। কিছুক্ষণ পরে তিনি আবার কার্ড দেখিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোম্যান্সল্যান্ডে বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে। পরে তাকে তল্লাশি করে ১৩ টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এদিকে বিজিবি ১৩ টি সোনার বার উদ্ধারের কথা বললেও বিএসএফ এবং ওপারের স্থানীয়রা জানায়, উদ্ধার হওয়া সোনার বারের সংখ্যা ছিল ২২ টি। চেকপোষ্টের একাধিক সূত্র জানায়, গোপাল বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করে ভারতীয় পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করে। দীর্ঘদিন সে ঐ ভাবে চলতে চলতে সোনা পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে গোপালকে আটক করার পর কিভাবে সোনার বারের চালানটি কার মাধ্যমে এসেছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি বেনাপোল কাগজপুকুর এলকা থেকে ৩৬ পিস সোনার বারসহ মোমিন নামে এক পাঁচারকারিকে আটক করে পুলিশ ও ২৫ জানুয়ারি বেনাপোল চেকপোষ্ট নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা থেকে ২২ পিচ সোনার বারসহ আলী কদর নামে এক ভারতীয়কে আটক করেছিল বিএসএফ।