কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া সদর ও ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহাম্মেদ,উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিব-উল-ফেরদৌস, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খদেজা খাতুন ও ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জেলা নির্বাচন অফিসার ফরিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। রিটার্নিং অফিসারের দেয়া প্রতীক অনুসারে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কুষ্টিয়া সদর উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারররফ হুসাইন দোয়াত-কলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠানিক সম্পাদক এ এফ এম আমিনুল হক মোটরসাইকেল, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার আনারস, সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব কাপ-পিরিচ প্রতীক পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামাল উদ্দীন তালা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাকির হোসেন টিয়াপাখি, কামাল হোসেন চশমা প্রতীক এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মহিলা নেত্রী নিলুফা ইয়াসমিন কলস ও জামায়াত নেত্রী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা হুসাইন পদ্মফুল প্রতীক পেয়েছেন। অন্যদিকে
ভেড়ামারা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ওরফে আলম মালিথা দোয়াত-কলম, ভেড়ামারা উপজেলা জাসাসের সভাপতি শাহাজান আলী হেলিকাপ্টার, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দীক আনারস, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের (ইনু) সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন কাপ-পিরিচ,জাতীয় পার্টি সর্মথক রবেল আহমেদ মোটরসাইকেল, ভেড়ামারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান হোসেন চিশতি ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম বাবু টিউবয়েল, আ’লীগ আমিরুল ইসলাম তালা ও অধ্যাপক নুরুল আমিন জসিম টিয়াপাখি প্রতীক এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেত্রী লুৎফুন নেছা রুনু ফুটবল, ইন্দোনেশিয়া খাতুন হাঁস, জান্নাতুল খাতুন পদ্মফুল, আরজিনা বেগম কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন। মোটরসাইকেল, আনারস, দোয়াত-কলম, কাপ-পিরিচ ও হেলিকাপ্টার, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাসদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন। প্রতীক বরাদ্দ শেষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ বেলাল হোসেন ও পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহাম্মেদ তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, দশম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের মত উপজেলা নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করা হবে। নির্বাচনের পরিবেশ ভাল ও সুন্দর রাখতে ও যা যা প্রয়োজন সব ব্যবস্থায় নেয়া হবে। কোন প্রকার সন্ত্রাস, বিশৃংখলা, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা কিংবা ঘটনা মেনে নেয়া হবেনা। এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের দমনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কঠিন ভূমিকা পালন করবে। কোন ভাবেই নির্বাচনের আচারণ বিধি লংঘন মেনে নেয়া হবে না। আজকে যারা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে অতি পরিচিত জন নির্বাচনের দিন পর্যন্ত কারোর সাথেই সেই পরিচয় থাকবে না। উলেখ্য, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারী এ দুটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
