কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জামাই-শ্বশুর, চাচা-ভাতিজা, কিংবা ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইয়ের যুদ্ধ। এমন সংবাদ হরহামেশাই শোনা গেলেও বাপ-বেটার যুদ্ধ কি কখনো শোনা গেছে? বিষয়টি আশ্চর্যের হলেও এমনি ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার বাপের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ছেলে। তারা আর কেউ নন কুমারখালী পৌরসভা থেকে বার বার নির্বাচিত মেয়র, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিক ও তাঁরই একমাত্র ছেলে কুমারখালী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া মিলন। রবিবার মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার সালেহা আক্তারের কাছে তারা পৃথকভাবে তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিলে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা ভোট যুদ্ধে থাকবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। অনেকেই মনে করছেন বিএনপি’র একক প্রার্থী নুরুল ইসলাম আনছার। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে যদি ত্রুটি বিচ্যূতির কারনে আনছার প্রামানিকের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় সেই আশংকায়ই আনছার প্রামানিক তাঁর ছেলেকে দিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। তবে এক্ষেত্রে যদি সত্যি সত্যিই তারা চুড়ান্তভাবে প্রার্থী হয়ে যান তাহলে তা হবে বিস্ময়কর ঘটনা।
উলেখ্য, কুমারখালীতে বিএনপির আনছার ও মেহেদী রুমি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব থাকলেও ওইদিন তারা একই সভায় মিলিত হয়েছিল। এতে মনে করা হচ্ছে, তাদের দ্ব›দ্ব আর থাকছেনা। এদিকে মেহেদী গ্রুপ থেকে কেউ চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়নি। শুক্রবার সচেতন নাগরিক ফোরামের ব্যানারে নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিক চেয়ারম্যান, জামায়াতের আফজাল হোসাইন ও আনজুয়ারা বেগমকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্যানেল মনোনয়ন ঘোষনা করা হয়।
