হাকিম বাবুল, শেরপুর : ‘অধিক সব্জী, অধিক পুষ্টি, বেশী পরিশ্রম, বেশী বেশী আয়’ এমন উদ্দেশ্য নিয়ে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করে সবজি চাষের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন এবং পুষ্টি সাধনের লক্ষ্যে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে মার্কিন বানিজ্য প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় আইএফডিসি-আপি প্রকল্পের আওতায় ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশন শেরপুর জেলায় ওই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাছুর আলগা গ্রামে এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। ওই গ্রামের কৃষাণী রোজিনা আক্তারের ১০ শতাংশ জমির প্রদর্শনী প্লটে ৫ শতাংশ জমিতে গুড়া ইউরিয়া ও ৫ শতাংশ জমিতে গুটি প্রয়োগ করে আলুর আবাদ করা হয়। এতে গুটি ব্যবহারকারী জমিতে উৎপাদিত আলু সাইজেও বড় বড়, চেহারা সুন্দর ও রোগ-বালাইমুক্ত এবং ফলন বেশী দেখা যায়। আুল উত্তোলন করে দেখা যায়, গুড়া ইউরিয়ায় একর প্রতি আলুর ফলন মিলেছে ২শ ৪০ মণ এবং গুটি ইউরিয়ায় ফলন হয়েছে একরে ৩শ মণ।
মাঠ দিবস উপলক্ষে কৃষাণীদের নিয়ে এলাকায় বর্ণাঢ্য একটি র্যালি বের হয় এবং উপস্থিত সকল কৃষাণীদের নিয়ে আগত অতিথিরা গুটি ইউরিয়ার প্রয়োগে আলু আবাদের প্রদর্শনী ব্লক পরিদর্শন করেন। পরে কৃষানী সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএফডিসি-আপি প্রকল্পের প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ আবুল হোসেন মোলা, আইএফডিসি-ওয়ালমার্ট কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তানজিনা তাহসিন এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফিল্ড সুপারভাইজার সাবিহা নাজনীন। স্থানীয় ফিল্ড মনিটরিং কর্মকর্তা মুনজুরী আক্তারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওসমান গণি, কৃষাণী রোজিনা আক্তার, কৃষক আসাদুজ্জামান বাবুল, গুটি উৎপাদক মো. বাদল মিয়া প্রমুখ। এতে এলাকার শতাধিক কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।
