শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৯ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করে এক দলীয় স্বৈরশাসন জাতির কাঁধে চেপে বসেছে। ইচ্ছেমত বিনা ভোটে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরা ক্ষমতা দখল করেছে। তিনি ৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনের বলরুমে সংবাদ সম্মেলন ওই কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ৩শ আসনের মধ্যে ১শ ৫৩ আসন ভোটের আগেই ভাগ-ভাটোয়ারা করেছে। বিএনপিকে তারা এর এক ভাগ দিতে চেয়েছিল। আমরা ভাগাভাগি চাইনি। আমরা চেয়েছি সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন।
১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের কথা উলেখ করে খালেদা বলেন, একই ধারাই ভোট ছাড়াই অবৈধ তামাশার সরকার গঠন করেছে। এরা কেউ নির্বাচিত নয়। এই সরকার ও সংসদ যে গণতান্ত্রিক হতে পারে না, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের দাবির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যেটাই তাদের কাছে সুবিধাজনক মনে হয়, তখন সেটাই তারা বলে। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের আগে-পরে এক মাসে গুম-খুনের একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন খালেদা জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, ১৯ দলীয় জোট নেতারা রয়েছেন।
এই সংবাদ সম্মেলন বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনের পর তার দ্বিতীয় সংবাদ সম্মেলন।সর্বশেষ গত ১৫ জানুয়ারি ওয়েস্টিন হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন খালেদা। একই সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
