ads

সোমবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

>>

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪ ৫:০৩ অপরাহ্ণ

Sreebordiএম.আর.টি মিন্টু  : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠান উপজেলা পরিষদ। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার সাথে সাথেই চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন তিন ধাপে নির্বাচন সম্পন্ন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  তৃতীয় ধাপের তপছিল অনুযায়ী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা মুখি জল্পনা-কল্পনা। এই নির্বাচনে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। পতিত এরশাদ শাহী’র শাসন-আমলে সরকারি নীতিমালানুযায়ী প্রথম নির্বাচনে এখানে নির্বাচিত হন জাপা সমর্থিত প্রার্থী ও উপজেলা জাপা’র সভাপতি ডাঃ এম.এ. ওয়াদুদ। সফলতার সাথেই কার্যকাল পরিচালনা করলেও দ্বিতীয় বার তদানিন্তন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন খোকা সাহেবের নিকট পরাজয় বরণ করেন। বিজয়ী প্রার্থী খোকা সাহেবের মেয়াদকাল শেষ হতে না হতেই ৯১’র সাধারণ নির্বাচনে বি.এন.পি ক্ষমতাসীন হওয়ায় রাজনৈতিক  কারণে তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গোটা দেশের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের কলমের খোঁচায় নির্বাহী ক্ষমতার আদেশে বাতিল হিসেবে গণ্য করায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা ক্ষমতা হারান। তন্মধ্যে খোকা সাহেবও একজন। নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল, আন্দোলন-সংগ্রাম চালালেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এমনকি হাই কোর্টে রীট মামলা হলেও মামলার ফলাফল আজও চোখে পড়েনি। নির্বাচন থমকে যায় অনেক বছর। ১/১১ এর সময় ফখরুদ্দিনের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ অঙ্কনকালে এই নির্বাচনও স্থান করে নেওয়ায় ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচন হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে আ’লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরীষ্ঠতা অর্জন করে। এই সরকারের অধিনেই সামান্য দিন পর স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে সকল দলের সমর্থিত প্রার্থীরা অংশ নিয়ে বিজয়ী হলেও এখানে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী আশরাফ হোসেন খোকা সাহেবের বিধি বাম! মহাজোটের বিজয়ের বলে বলিয়ান হয়ে বিজয়ের শতভাগ প্রত্যাশা নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলেও ১২৩৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরন করেন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ২৮৭১৬ ভোট পেয়ে।পরাজয়ের কারণ হিসেবে জানাগেছে –আ’লীগের মধ্যে কঠিন বিভক্তি। এক দিকে নৌকা প্রতিকের সমর্থনে কর্মী অন্য দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী কলস প্রতিকের স্বপক্ষে কর্মী বাহিনী এবং বি এন পি- জামায়াতের পরাজয়ের প্রতিশোধ ব্যাপক ভাবে পর্দার অন্তরালে নীল নকশা বাস্তবায়ন। পক্ষান্তরে সর্ব দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচিত খোরশেদ আলম ফর্সা সাহেব রিক্সা প্রতীকে ২৯৯৫১ ভোট প্রাপ্ত হয়ে বিজয়ী ঘোষণা হলেও বিজীত প্রার্থীর সমর্থকরা সহিংস ঘটনা চালানোর কারণে দ্রুত বিচার আইনে প্রার্থী ও সমর্থকদের আসামী করে মামলা রুজু করে প্রশাসন। মামলায় বিজীত প্রার্থী সহ অনেক সমর্থকরা দীর্ঘ সময় শ্রীঘরে রাত কাঁটান এবং মামলাটির ঘানি টেনে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ম্যানেজের মাধ্যমে মামলাটি আপোষ-রফা করায় সকলে খালাসে মুক্তি লাভ করেন। ওই দুইজন প্রার্থী সহ মোট ৬৩ টি কেন্দ্রে সর্বমোট ১৫৭৪৩৪ জন ভোটের মধ্যে অন্য যে সমস্ত প্রার্থীরা অংশ নিয়ে প্রতীক ভিত্তিক ভোট প্রাপ্ত হন- চাকা প্রতীকে আবু হানিফা আবু ১৫৭৪৪ ভোট, দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন ৪০৪১ ভোট, মাছ প্রতীকে খন্দকার ফারুক আহম্মেদ ৯৬২২ ভোট, চেয়ার প্রতীকে এম.এ মতিন ২৫১৩ ভোট, ছাতা প্রতীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল­াহ্ সালেহ ৫১৯৯ ভোট, আনারস প্রতীকে কাজী জোবায়ের ২৯৩৪ ভোট, জামায়াত নেতা নূরুজ্জামান বাদল শেষ মুহুর্তে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে গিয়েও না পারায় এবং নির্বাচনী হাল ছেড়ে দেওয়ায় টেলিফোন প্রতীকে ১৪৬ ভোট প্রাপ্ত হন। খোরশেদ আলম ফর্সা সাহেবের মেয়াদকালে কতটুকু জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তার সঠিক হিস্যা না দিতে পারলেও প্রমাণ মিলে ১০ম জাতীয় সংসদে জাপা প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে দুই উপজেলায় মিলে ৮২০০ ভোট পাওয়ার মধ্য দিয়ে।
চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে এই এলাকায় বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে। প্রার্থীরা জনগনের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মুছাফা, কদমবুচি, কোলাকোলি, ক্ষেত্রমতে পা ছুঁয়ে সালাম, কুশল বিনিময়সহ দূরের আত্মীয়কে নিকট আত্মীয় হিসেবে মর্যাদা দেওয়া এবং গণ সংযোগ, পোষ্টারিং, লিফলেট বিতরণ, চায়ের দোকানে মুখরোচক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। এই নির্বাচনেও বিগত নির্বাচনের বিজয়ী ও বিজীত প্রার্থীরা রয়েছে নিজস্ব অবস্থানে। এবার এই উপজেলায় মোট ভোট সংখ্যা ১৭৭১৯০ টি। গত নির্বাচনের চেয়ে  ভোট বেড়েছে ১৯৭৫৬ টি। কেন্দ্র তিনটি বেড়ে হয়েছে ৬৬ টি। প্রত্যেক ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই বললেই চলে। ওই প্রার্থীদ্বয়ের মধ্যে ভোটের হিস্যা বিবেচিত না হয়ে হতে পারে উল্টো। বর্তমান চেয়ারম্যানের অবস্থান উলে­খ থাকলেও বিজীত প্রার্থী আ’লীগের সভাপতি এবং প্রভাবশালী হলেও তার শারীরিক অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় বার্ধ্যকের বিকির্ণ বিকেল। তদুপরি দলীয় সমর্থন, সংসদ সদস্যের অন্তরের আর্শিবাদ, শারীরিক অবস্থার উন্নতী হলে এবং তৃণমূলের ত্যাগী কর্মীরা শক্ত অবস্থান নিলে বিজয়ের স্থানে উপনিত হতে পারে এমন ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। অপর দিকে তার প্রতাপশালী ভাতিজা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন যদি খোকা সাহেবের বিপক্ষে প্রার্থী হন তবে হিস্যা হবে ঠিক উল্টো। আলমগীর চাচার পথের কাঁটা হবে কি না সময়েই তা প্রমাণ হবে। নচেৎ পারিবারিক ভুলের মাশুল দিতে হবে অনেকটা।

Shamol Bangla Ads

একাধিকবার ভেলুয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন এবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তারও একটি বৃহৎ এলাকা রয়েছে এবং দলীয় সমর্থনও পরোক্ষভাবে রয়েছে। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে সুবিধা পেতে পারে। বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক ও জেলা ছাত্রলীগের ৯০’র দশকের তুখোর ছাত্রনেতা এডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানী পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে রাজনীতি করে গত নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাঘ প্রতীকে নির্বাচন করে নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ জনগনের নিকট ধর্না ধরে চেয়ারম্যান পদে দোয়া আর্শ্বিবাদ এবং গণ সংযোগ চালিয়ে আসছেন এবং কোর্টে সাধ্যানুযায়ী অসহায়দের আইনী সেবা অব্যাহত রেখেছে। দলীয় সমর্থন অর্জনের দৃঢ় প্রত্যাশী। প্রত্যাশা পূরণ হলে বিজয় নিশ্চিতের দাবিদার। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, আ’লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য সাহেবের একনিষ্ঠ বন্ধু আজহার আলী প্রার্থী হিসেবে এই পদে অংশ নেওয়ার জন্য মুখ খোলে জীবন বৃত্তান্ত ছেপে লিফলেটও বিতরন করে জনগনের নিকট সমর্থন চাচ্ছেন। সংসদ সদস্য সাহেবের নিকটতম একজন হওয়ার সুবাদে তিনি দলীয় সমর্থনও পেতে পারে এমন ধারনা অনেকের। কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শেরপুর জেলা আ’লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, ৭০’র দশকের তুখোর ছাত্রনেতা, সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল­াহ সালেহ্ ফের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে হাত মিলিয়ে দোয়া চাচ্ছেন সর্বমহলে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা দলীয় সমর্থন পেতে বিজয়ী হতে পারে এই ত্যাগী নেতা। তার সহযোদ্ধা সাবেক তুখোর ছাত্রনেতা কিন্তু দলীয় বিভাজনের শিকার এম.এ মতিন এবারও নির্বাচন করার প্রত্যাশায় রাস্তায় বেড়িয়েছে। কিন্তু দলীয় সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ঐতিহ্যবাহী রাণীশিমূল ইউনিয়ন আ’লীগের ঘাটি হিসেবে খ্যাত খানদান পরিবারের সন্তান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খ.ম খুররম সাহেবের ভ্রাতা খন্দকার ফারুক আহম্মেদ যিনি সেন্ট্রাল যুবলীগের অনারী মেম্বার, অনলবর্ষী বক্তা এবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মুখ ফিরে তাকিয়েছেন এলাকার দিকে। দলীয় সমর্থন পেতেও দৃঢ় প্রত্যাশী। সমর্থন পেলে ভাল অবস্থান সৃষ্টি হতে পারে। কে.কে.চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, আ’লীগ নেতা, জেলা পরিষদ প্রশাসক এম.এ. হালিম সাহেবের নাতি ডি.এম শহিদুল­াহ অংশ নেওয়ার জন্যও মরিয়া হয়ে উঠেছে। বি.এন.পি অধূর্ষিত এলাকা হলেও প্রভাব আছে অনেকটা। ভেলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উক্ত ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রেজাউল করিমও নির্বাচনে অংশ নিবে বলে লোকমুখে শুনা যাচ্ছে। কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের অধিবাসী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি, দানবীর নঈম উদ্দিন আকন্দ প্রথম বারের ন্যায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানী ছেড়ে নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গণ সংযোগ চালিয়ে আসছে। তিনিও দলীয় সমর্থন প্রত্যাশী। তার ভাষায় সমর্থন পেলে চারটি ইউনিয়নে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট এবং অন্যান্য ইউনিয়নে কম-বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে জনসেবা করবে। তাতিহাটী ইউনিয়নের শিক্ষাবীদ ও প্রয়াত মান্যবর শিক্ষক এম.এ মজিদ স্যারের পুত্র আক্রামুজ্জামান একজন প্রার্থী। প্রশ্নের জবাবে উনি যানান কোন দলের সমর্থন নয় বরং গণ মানুষের ভোট নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে জন সেবার দীপ্ত প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ও শিল্পপতি ইদ্রিস আলী সাহেবের জামাতা রাণীশিমূল ইউনিয়নের অধিবাসী সাইদুর রহমান দুলা দলীয় সমর্থন প্রত্যাশী হিসেবে প্রথম বারের মত নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রার্থীরা জানিয়েছেন- আ’লীগ সমর্থন দিলে নির্বাচন করবেন কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কথা কেহ বলেননি। এই নির্বাচন যেহেতু স্থানীয় সরকারের নির্বাচন সেহেতু এখানে জাতীয় প্রতীক থাকবেনা। তদুপরি অতীতের সিটি/পৌর নির্বাচনে দলীয় ইঙ্গিত লক্ষ্যনীয় ছিল। বিগত উপজেলা নির্বাচনে এখানে দলীয় সমর্থন ছিল গৌন হেতু আ’লীগ প্রার্থী ছিল পাঁচ জন তাই দল সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে হয়েছে। অন্যদিকে বি.এন.পি দলীয় প্রার্থীর মধ্যে যারা প্রকাশ্যে মুখ খূলেছে- সদর ইউনিয়নের একাধিক টার্ম নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ডাঃ সুরুজ্জামান। পৌর বি.এন.পি’র সভাপতি, সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জামাল উদ্দিন জামাল। তিনিও সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে জানান- তার দল যদি নীতিগত ভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার প্রতি সমর্থন দেয় তবে অবশ্যই নির্বাচন করবেন। উপজেলা বি.এন.পি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম দুলাল, উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও সরকারি কলেজের সাবেক জিএস আব্দুল­াহ আল মামুন দুলাল, কে.কে.চর ইউনিয়নের কাজী যুবায়ের, কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলীফ উদ্দিন, তাতিহাটী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম.এ হালিম, যুবদল নেতা খন্দকার রুকনুজ্জামান উজ্জ্বল, সাবেক অধ্যক্ষ এ.কে.এম. হুমায়ুব কবির, জাপা সমর্থনে প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান ডা: এম এ ওয়াদুতের পুত্র এ.কে.এম পারভেজ সারোয়ার আলম খোকন, জামাত নেতা জামালপুরের নান্দিনা শেখ আনোয়ার হোসাইন (বিশ্ববিদ্যালয়) কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহবুব উল আলম। সর্বপরি জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ও তাতিহাটী আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান বাদল এবারও প্রার্থী হওয়ার প্রচারনা চালিয়ে আসছে। তিনি যদি ১৮ দলের সমর্থন ও আর্শ্বিবাদ পান তবে বিজয়ের ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য বিশিষ্টজনদের।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ছয় জন প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এ.কে.এম. ওবায়দুর রহমান খায়ের মুন্সি, ফরিদ আহম্মেদ নিলু মন্ডল, মাজিদুল হাসান লিকু, কাজি সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা উসমান গণি সাজু ও আব্দুল­াহেল আল আমীন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাস্তায় কাহাকেও দেখা না গেলেও লিপি বেগম ও জোস্মা বেগমের নাম শুনা যাচ্ছে।
চেয়ারম্যান পদে দুই ডজনের অধিক প্রার্থী হলেও দু’দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রার্থীরা মেনে নিলে সর্বশেষে হাফ ডজনের অধিক প্রার্থী হবেনা বলে ধারনা। এই পদে অধিক ক্ষমতায়ন না থাকলেও গত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের ডেকে রাজধানীর একটি সমাবেশে ঘোষণা দেন তার দল পূণ ক্ষমতাশীল হলে স্থানীয় সরকারের সকল স্তরকে শক্তিশালী করবে এবং ক্ষমতা নিশ্চিত বৃদ্ধি করা হবে এ কথার প্রতি আস্থাশীল হয়ে প্রার্থীর সংখ্যা এমন বৃদ্ধি হতে পারে। তবে দল সমর্থন না হলে সকল প্রার্থী বহাল থাকলে প্রার্থীর মেধা, যোগ্যতা, রাজনৈতিক দর্শন, বংশ মর্যাদা, পারিবারিক স্টেটাসের কোন মূল্যায়ন না হয়ে আঞ্চলিকতার প্রভাবে সামান্য ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে হেতু নির্বাচিত চেয়ারম্যানের মর্যাদা সার্বজনিন হবে না এটাই স্পষ্ট।
এই নির্বাচন সহিংসতা-নাশকতামুক্ত অর্থাৎ সুষ্ঠু-অবাধ হয়ে সর্বস্তরের জনতার আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে পারে এমন ব্যক্তি নির্বাচিত হউক। এই প্রত্যাশা সময়ের দাবি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!