শ্যামলবাংলা ডেস্ক : সংস্কৃতিপ্রিয় বাঙালির প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৪’ শুরু হয়েছে। ১ ফেব্র“য়ারী শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। একই অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মূকাভিনয় শিল্পী পার্থপ্রতিম মজুমদারকে দেওয়া হয় সম্মানসূচক ফেলোশিপ। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্যপ্রয়াত ভাষাসংগ্রামী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে।
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্র-শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে মেলার দ্বার খুলে যাবে সকাল ১১টায়; চলবে একটানা রাত ৯টা পর্যন্ত। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন মেলার দ্বার খুলবে সকাল ৮টায়। চলবে একটানা রাত ১০টা পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণকে সম্পৃক্ত রেখে এবার মেলা সম্প্রসারিত করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত। ক্রমান্বয়ে মেরার পরিধি আরও বাড়ানো হবে হবে বলে জানা গেছে। একাডেমির প্রাঙ্গণে শিশুতোষ প্রকাশনা সংস্থা, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক-গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে। এখানে মেলামঞ্চে থাকছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুস্তক প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারের গ্রন্থমেলায় মোট ২শ ৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫শ ৩৪টি ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে ২শ ৩২টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৪শ ৩২টি ইউনিট, বাংলা একাডেমির ভেতরে ২৪টি শিশু-কিশোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৩টি ইউনিট এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান-গণমাধ্যম ও অন্যান্য ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯টি ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এবার উন্মুক্তসহ ৫৫টি লিটল ম্যাগাজিনকে লিটলম্যাগ কর্নারে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। লিটলম্যাগ কর্নারটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেনকে। মেলা প্রাঙ্গণকে ১৩টি চত্বরে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫ ভাষাশহীদ- সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত ও শফিউরের নামে আলাদা চত্বর; রবীন্দ্র, নজরুল, ড. মুহাম্মদ শহীদুলাহ, সোমেন চন্দ, রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও রফিকুল ইসলাম চত্বর।