বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা : মাত্র এক টাকার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নম্বরপত্র না পেয়ে চরম হতাশায় ভুগছে। অভিযোগ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের। প্রাথমিক ও গণ-শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র প্রদানের নির্দেশনাসহ এ বিষয়ে বরাদ্দ পাওয়া সত্তে¡ও তা প্রদান করছেন না বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম। নম্বরপত্র প্রদানের জন্য প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ১ টাকা করে জমা করার নির্দেশ প্রদান করেন এ উপজেলা শিক্ষা অফিসার। নম্বরপত্র প্রদানের জন্য বরাদ্দের বিষয়টি জানার পরে প্রধান শিক্ষকগণ এ অর্থ জমা করতে অপারগতা প্রকাশ করলে টাকা ছাড়া তিনি নম্বরপত্র প্রদানে অসম্মতি প্রকাশ করেন। এদিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নম্বরপত্র না পাবার কারণে অনেকেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল গত ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার পরীক্ষায় এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলাফল প্রকাশের পর গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে নম্বরপত্র বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নম্বরপত্র প্রদানের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিসার নম্বরপত্র প্রদানের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীর বিপরীতে এক টাকা করে জমা করার জন্য বলেন। প্রধান শিক্ষকগণ টাকা জমা না করার কারণে তিনি শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র প্রদান করছেন না। ফলে, মাত্র এক টাকার জন্য নম্বরপত্র পাচ্ছে না উপজেলার সাড়ে ৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলামের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিষয়টি সমাধান করে তিনি দ্রুত নম্বরপত্র প্রদান করবেন বলে জানান।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ স্বীকার করেন।