ads

শুক্রবার , ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ | ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দৌলতপুরে আওয়ামলীগ ও বিএনপি’র প্রতিপক্ষ নিজেরাই

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জানুয়ারি ৩১, ২০১৪ ৪:২৭ অপরাহ্ণ

upa-zillaএসএম জামাল, কুষ্টিয়া :  নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা না হলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা তাদের পক্ষে জন সমর্থন আদায়ে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন। নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে মোটরসাইকেল শো-ডাউন ও কর্মী সভা করে প্রার্থী পরিচিতির জানান দিচ্ছে কেউ কেউ। আবার দলীয় সিদ্ধামেত্মর অপেক্ষায়ও রয়েছেন অনেকে। তারপরও থেমে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের গনসংযোগ ও প্রচারনা। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দৌলতপুরে বৃহৎ দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হবেন তারা। সেদিক থেকে জাতীয় পার্টি জাপা (এরশাদ) ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (ইনু) সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এ দু’টি দল থেকে ইতিমধ্যে একক প্রার্থীর নাম ঘোষানা করা হলে তারা নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরে প্রচার ও প্রচারনার কাজও শুরু করেছেন। দলীয় প্রার্থী হওয়ার পাশাপাশি দৌলতপুরকে দু’টি অঞ্চলে ভাগ করে দলমত নির্বিশেষে আঞ্চলিকতা জাগ্রত করারও প্রাণপন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিন অঞ্চল ও উত্তর অঞ্চলের (চরাঞ্চল) দুই প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থীর নাম ও তাদেরকে নির্বাচনী প্রচারনার কাজ চালাতে দেখা গেলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে উল্লেখ যোগ্য কোন প্রার্থীর নাম শুনা বা তাদের প্রচারনা চোখে পড়ছে না। দৌলতপুরে আওয়ামলীগ ও বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ায় তাদের প্রার্থীও দুই ভাগে বিভক্ত। সে ক্ষেত্রে দৌলতপুর আওয়ামলীগের বৃহৎ অংশ বর্তমান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর পক্ষে রয়েছে। তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আবারও এ বৃহদাংশ ভগ্নাংশে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আওয়ামলীগের এ অংশে দু’জন শক্ত প্রার্থী নিজেদের দলীয় প্রার্থী দাবী করে নির্বাচনী প্রচারনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এরা হলেন, দৌলতপুর আওয়ামলীগের (হানিফ পন্থী) যুগ্মআহবায়ক ও আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান দক্ষিনাঞ্চল ভাগীদার ফিরোজ আল মামুন। অপরজন তরুন উদীয়মান আওয়ামলীগ নেতা ও দৌলতপুর আওয়ামলীগের (হানিফ পন্থী) আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ছাদিকুজ্জামান খান সুমন। এরা দু’জনই নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরে মোটরসাইকেল শো-ডাউন, গনসংযোগ ও সুধী সমাবেশ করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন। তবে দৌলতপুর আওয়ামলীগের দীর্ঘ দিনের কান্ডারী ও নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহমেদ মনোনিত কোন প্রার্থীর নাম এখনও শোনা যাচ্ছে না। আওয়ামলীগের এ অংশের কোন নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হলে দ্বি-ভংঙ্গুর আওয়ামীলীগের ত্রি-শঙ্কু অবস্থার সৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্রে সুবিধা প্রাপ্তিতে এগিয়ে থাকবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। অপরদিকে দুই ভাগে বিভক্ত দৌলতপুর বিএনপিও চেয়ারম্যান পদে দু’জন প্রার্থীর নাম ঘোষনা করে গনসংযোগ ও প্রচারান চালিয়ে যাচ্ছেন। এরা হলেন, দৌলতপুর বিএনপি’র (বাচ্চু মোল্লা গ্রুপ) সাধারন সম্পাদক শহীদ সরকার মঙ্গল। তিনি গত ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হারেজ উদ্দিনের কাছে ভোট ব্যবধানে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে পরজিত হোন। এবারও তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই দৌলতপুর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সাংসদ রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা তার বাড়ির আঙিনায় কর্মী সভা ডেকে শহীদ সরকার মঙ্গলের নাম ঘোষা করে দলী নেতা নেতা-কর্মীদের তার পক্ষে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। বাচ্চু মোল্লা নিজেও নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। মঙ্গল সরকারকে সাথে নিয়ে তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নের গনসংযোগ ও কর্মী সভা করে বেড়াচ্ছেন। দৌলতপুর বিএনপি’র অপর গ্রুপ আলহাজ্ব আলতাব হোসেন পক্ষের প্রার্থী হচ্ছেন দৌলতপুর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা। তিনি দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর আত্মগোপনে থেকে সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন উত্তোলন করে নিজেকে আত্ম প্রকাশ করে আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়েন। যদিও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে দৌলতপুর বিএনপি’র যুগ্মসাধারন সম্পাদক পদ থেকে হাবলু মোল্লাকে সেসময় বহিস্কার করেন বাচ্চু মোল্লা। সম্পর্কে তারা চাচা ভাতিজা। এখন তিনি (হাবলু মোল্লা) বিএনপি’র আলতাব গ্রæপে যোগ দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন এবং দৌলতপুর বাসীর কাছে দোয়া চেয়ে মাইক যোগে প্রচারনাও চালানো হচ্ছে তার পক্ষে। এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী কোরবান আলীর ভাতিজা আলী আকবর। সৎ, শামত্ম, ভদ্র ও বিনয়ী স্বভাবের হওয়ায় রাজনীতিতে তার ক্লিন ইমেজ রয়েছে। তার অবস্থানও ফেলে দেয়ার নয়। আর দৌলতপুর রাজনীতিতে অত্মপ্রকাশ করে জাসদ সমর্থিত প্রার্থী শরিফুল কবীর স্বপন গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হলেও এবার তিনি তার অবস্থান অনেকটা সুদৃড় করেছেন। পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করার সুবাদে জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবজোটের বর্তমান যুগ্মসাধারন সম্পাদক শরিফুল কবীর স্বপন পদ্মার করাল গ্রাস ও ভয়াবহ ভাংগন থেকে রক্ষা পেতে অবহেলিত চরাঞ্চলবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ও জাগ্রত করতে ইতিমধ্যেই তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বেশ জোরে সোরেই প্রচার প্রচারনা ও গনংযোগ চালিয়ে প্রার্থী তালিকায় নাম অনেক আগেই লিপিবদ্ধ করেছেন। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় এবারের নির্বাচন বেশ জমজমাট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ন হবে। শেষ হাসি কে হাসবে আর কার গলে পরানো জয়ের মালা সে রায় রয়েছে জনতার হাতে। সেসময় পর্যমত্ম অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!