ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতকে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানায় শ্রমিকদের বিনা নোটিশে চাকুরীচ্যুত করার প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনুর আক্তার পান্না বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে গ্রহন করেন অফিস সহকারী আব্দুল হাকিম।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার চালক শ্রমিকবৃন্দ চাকুরী স্থায়ীকরন ও বেতন-ভাতাসহ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবীতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাদের ন্যায্য দাবী-দাওয়া পূরণ না করায় লাফার্জ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম শ্রম আদালত-২ এ ২৩জন শ্রমিক পৃথক মামলা দায়ের করে। এসকল মামলা বিচারাধিন থাকাবস্থায় স্থানীয় মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী শ্রমিকদের বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির চেষ্টা করেও সফল হননি। লাফার্জ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবী-দাওয়া পূরণ না করে বিনা নোটিশে আন্দোলনরত শ্রমিকদের চাকুরীচ্যুত করেন। গত ২৯ জানুয়ারি আন্দোলনরত শ্রমিকদের চালিত সকল গাড়ী বন্ধ করে দেয়া হলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে চালকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও কোন সুফল পায়নি তারা। অন্যায়ভাবে চাকুরীচ্যুত করা শ্রম আইন পরিপন্থি বলে শ্রমিকরা দাবী করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে দলবদ্ধভাবে আসা শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ৭-৮বছর ধরে চাকুরী করা অবস্থায় হঠাৎ করেই তাদের কাজে যোগদানে বাঁধা দেয়া হয়। তাদের চালিত সকল গাড়ী বন্ধ করে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। স্থানীয় কতিপয় দালালদের কারনেই ২৩জন শ্রমিকের পেটে লাথি মেরেছে লাফার্জ কর্তৃপক্ষ। চাকুরীচ্যুত শ্রমিকরা যাতে দাবী আদায়ের আন্দোলন করতে না পারে সেজন্য লাফার্জের প্রধান ফটকে পুলিশ-বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে তারা দাবী করছে। এদিকে ২৩জন গাড়ী চালককে বিনা নোটিশে চাকুরীচ্যুত করায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। লাফার্জ কর্তৃপক্ষের এমন ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন স্থানীয় বিবেকবান লোকজন। এ ব্যাপারে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি রিলেশন অফিসার সাব্বির হোসেন জানান, আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে লাফার্জের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। নিবন্ধিত একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রমিক সরবরাহ করা হয় কারখানায়। আন্দোলনরত শ্রমিকরা সৈয়দ হারুন অর-রশিদ মালিকানাধিন এইচআর এন্টারপ্রাইজের লোক। তাদের কাজে যোগদান থেকে বিরত রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এখানে চাকুরীচ্যুত করার বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক।
