পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৬জন আহত হয়েছে। ২৯ জানুয়ারী বুধবার ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লতা ইউনিয়নের পানা মৌজার ৪৫০ বিঘা একটি চিংড়ি ঘেরে ১৫০ বিঘা জমি নিয়ে স্থানীয় বিকাশ হালদার গংদের সাথে প্রভাবশালী ঘের মালিক রফিকুল ইসলামের সাথে গত বছরের শেষ দিক হতে বিরোধ চলে আসছে। ২০১৩ সালে চিংড়ি ঘেরের মেয়াদ শেষ হলে ৪৫০ বিঘা চিংড়ি ঘেরের মধ্য থেকে বসতবাড়ী সংলগ্ন ১৫০ বিঘা জমি স্থানীয় বিকাশ হালদার গংরা সমবায় ভিত্তিক চিংড়ি চাষের লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরুতে দখল বুঝে নিয়ে বাঁধ দিলে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলার ঘটনা ঘটে।
থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে একাধিক শালিসী বৈঠকও হয়। বৈঠকে চুড়ান্ত কোন সমঝোতা না হওয়ায় সর্বশেষ ঘটনার দিন বুধবার বেলা ১২টার দিকে ঘের মালিক ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে স্থানীয়দের দখলে থাকা অংশ পাল্টা-দখলের প্রস্তুতি নিলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় দৈনিক গ্রামের কাগজ (লতা ইউনিয়ন) ও খুলনাঞ্চল পত্রিকার পাইকগাছা প্রতিনিধি সাংবাদিক কৃষ্ণ রায় মটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে যায়। পেশাগত কাজ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ঘেরের প্রধান বাসার নিকট পৌছালে ঘের মালিকের ভাড়াটিয়া লোকজন তাদেরকে গতিরোধ করে ব্যবহৃত মটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং মটরসাইকেল চালক উত্তম রায় ও সাংবাদিক কৃষ্ণকে বেদম মারপিট করে চালককে ছেড়ে দিলেও সাংবাদিককে বাসায় জিম্মি করে রেখে মোবাইল, পরিচয়পত্র ও ডিজিটাল ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এরপর ঘের মালিকের ভাড়াটিয়া শতশত লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে স্থানীয়দের দখলে থাকা অংশ দখল করতে গেলে এলাকাবাসী ও ঘের মালিকের লোকজনের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে স্থানীয়দের মধ্যে বিকাশ হালদারের স্ত্রী সুমিত্রা হালদার, গৌরপদ হালদারের পুত্র শিব হালদার ও দু’ঘের কর্মচারী আহত হয়। পরে এলাকাবাসী জিম্মি থাকা সাংবাদিক কৃষ্ণকে উদ্ধার করে এবং আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
