আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘির চাঞ্চল্যকর শিশু জিসান হত্যা মামলায় পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে আরও ৩ জনকে আটক করে এবং তাদের নিকট থেকে যে মোবাইল ফোনে মুক্তিপন দাবী করা হয় সেটিও উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে এ মামলায় ৪জনকে গ্রেফতার করা হলেও মুল হোতারা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী এস.আই দুলাল হোসেন জানান আটককৃতদের মধ্যে নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর গ্রামের রামচন্দ্র দাসের পুত্র শুকদেব দাস ও নওগাঁর গাংজোয়ার গ্রামের তৈয়ব সরদারের পুত্র গোলাম মোস্তফা ওরফে তপনকে গ্রেফতার ও ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে ও মান্দার পার এনায়েতপুর গ্রামের আতাউর রহমানের পুত্র হারুনুর রশিদকে স্বাক্ষী হিসাবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহনের জন্য গতকাল বুধবার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। অপহরনকারীদের মুক্তিপন চাওয়ার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার হওয়ায় শিশু জিসান হত্যা ঘটনা উদঘাটন ও খুনি সনাক্ত এখন সময়ের ব্যাপার।
উল্লেখ্য ঃ আদমদীঘির সাওইল গ্রামের ইটভাটা মালিক সাবেক ইউপি সদস্য বজলুর রহামন বুলুর পুত্র ১ম শ্রেনীর ছাত্র জিসান (৭) কে গত ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর কৌশলে অপহরন করে দৃবৃত্তরা তার পিতার নিকট মোটা অংকের মুক্তিপন দাবী করে। মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে অপহরনকারীরা ৫ দিন পর গত ৩ ডিসেম্বর জিসানকে খুন কওে তার লাশ মুরইল কওমী মাদরাসার নিকট একটি পুকুরের পাড়ে ফেলে রেখে যায়। এ ব্যাপারে নিহত জিসানের পিতা বাদী হয়ে কারো নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
