আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে নিষিদ্ধ নোট (গাইড) বইয়ে ছেয়ে গেছে প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। এ উপজেলায় ১২৮টি প্রাথমিক, ৩৬টি মাধ্যমিক, ১৫টি মাদ্রাসা ও ১৫টি কলেজ রয়েছে। স্কুল কলেজের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিশাল দখলের উদ্দেশে নোট কোম্পানীগুলো কিছু সুযোগ সন্ধানী নামধারী শিক্ষককে কাজে লাগিয়ে দেদারসে নোট বই বিক্রি করে চলেছে। অভিযোগ রয়েছে কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত শিক্ষক নির্ধারিত নোট বই বিক্রির সাথে সরাসরি জড়িত।
উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রকাশনার পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক সমিতিকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা যেমন, শিক্ষা সফর করার যাবতীয় অর্থ, বার্ষিক সভার সমূদয় খরচ, শিক্ষকদেরকে ব্যাগসহ বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে গাইড বইয়ের পাশাপাশি প্রতি শ্রেণীর জন্য বাংলা ও ইংরেজী গ্রামার কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। সমিতি প্রদত্ত বুক লিস্টে উল্লেখিত গ্রামার বই না কিনলে শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগ ও রয়েছে। এই বুক লিস্টের পক্ষে নির্ধারিত শিক্ষক আবার প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্নদিক তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের নোট (গাইড) কেনার জন্য উৎসাহ যোগাচ্ছেন। কোন শিক্ষার্থী সেই নির্ধারিত বই না নিয়ে ক্লাশে আসলে তাকে ধমকানো হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন বইয়ের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, পাঞ্জেরী, স্কয়ার, জুপিটার, কেয়ার, মাধ্যমিক স্তরের পাঞ্জেরী, লেকচার, দিকদর্শন, অনুপম ইত্যাদি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, নোট বই দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াতে সুবিধা হচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীরা সহজেই নোট বই মুখস্ত করে পড়া তৈরী করতে পারছে। কিন্তু শিক্ষাবিদরা বলেন, বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি সৃজনশীল পদ্ধতি। এখানে নোট বইয়ের কোনো সহযোগীতার প্রয়োজন নেই। নোট বই পড়লে শিক্ষার বর্তমান উদ্দেশ্য নস্যাৎ হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল আলম জানান, সৃজনশীল পদ্ধতি হওয়ায় নোট বই পড়ানোর কোন সুযোগ নেই। যদি নোট বই ব্যবহার দেখা যায় তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
