স্টাফ রিপোর্টার : পাটিসাপটা, ভাপা, চিতই, পুলি, পোয়া, ঝিনুক, কুমারি, হৃদয়হরণ, বিবিখানা, সাহেবখানা, জামাই আদরি, কসমস, আওলাশি, গোলাপ পিঠা, খেজুর কাটা পিঠা, কলাপিঠা, বেনি পিঠা, কেক পিঠা, লিচু পিঠাসহ বিভিন্ন বাহারী নামের শতাধিক রকমের পিঠার মেলা বসেছিল শেরপুর সরকারী মহিলা কলেজ মাঠে। ২৯ জানুয়ারী বুধবার দিনব্যাপী এ জম্পেশ পিঠার মেলা বা বার্ষিক পিঠা উৎসবের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ আশীষ চন্দ্র কর বিজু ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। এতে কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পিঠাপ্রিয় বাঙ্গালী এবং আদিবাসী নারীরা ভীড় করে ওই পিঠা উৎসবে। উৎসবে আগত নারীরা বেশ মজা করে বন্ধুদের নিয়ে পিঠা খান এবং বাড়ির জন্য কিনেও নেন অনেকে। এ পিঠা উৎসবে দীর্ঘ দিন পর পুরোনা বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ায় আড্ডায় জমে উঠে অনেকেই। দীর্ঘদিন থেকেই শেরপুর সরকারী মহিলা কলেজে প্রতিবছরই এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আসছে।
পিঠা উৎসবে প্রায় ৩০ রকমের ভিন্ন ভিন্ন মজাদার ও স্বাদের পিঠা এবং আদিবাসী সংস্কৃতির বাহারি বিভিন্ন পোষাক ও ফুলসহ মোট ১২ টি স্টল বসে। এখানে আদিবাসী নারীদের পাশাপাশি বাঙ্গালী নারীরাও ওইসব বাহারী পোষাকের স্টলে ভীড় জমায়। এছাড়া পিঠা উৎসবকে ঘিরে জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ পড়–য়া তরুণীদের যেন মিলন মেলায় পরিনত হয়। তবে এ পিঠা উৎসবকে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমাজের নারীদের এগিয়ে আসার প্রত্যাশা করেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
