তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের পাড়ায় মহল্লার সাধারণ মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন তৃতীয়বারের মতো রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া কুমিল্লা-১১(চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে নির্বাচিত এমপি মোঃ মুজিবুল হক। ২৬ জানুয়ারী রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বিভিন্ন পড়ায় মহল্লায় সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও পথসভায় যোগ দিতে গিলে সর্বস্তরের মানুষের হাজার হাজার ফুলের তোড়া আর ফুলের মালায় সিক্ত হন সকলের প্রিয় মুজিবুল হক মুজিব।
তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রী হয়ে চৌদ্দগ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে দেখা করেতে গেলে সাধারণ মানুষকে উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা গেছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিব।
বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় রেলপথ মন্ত্রনালয়ে তৃতীয় বারের মতো দায়িত্ব গ্রহনের পর কুমিল্লা জেলায় গত ২৪ জানুয়ারী ছিলো মন্ত্রীর প্রথম সফর। তার মধ্যে মন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা চৌদ্দগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলে ছিলো প্রথম। এই সফরটিতে পুরোদিন কাটিয়েছেন ব্যস্ততার মধ্যেদিয়ে। বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পরও একটুও বদলায়নি মুজিবুল হক। কর্মব্যস্ত এই মানুষটি শত ব্যস্ততার মাঝেও ভুলে যাননি তার নির্বাচনী এলাকা চৌদ্দগ্রামের হাটে, ঘাটে, মাঠের সহজ সরল মানুষদের। যার প্রমান মিলেছে গতকালের দক্ষিণ চৌদ্দগ্রামের সফরে। সরকারী সফর হিসেবে মন্ত্রীর নিজ মন্ত্রনালয় থেকে নির্ধারিত সফর সূচীর বাইরে গিয়ে তিনি তার প্রাণের মানুষদের সাথে পাড়ায় মহল্লায় ঘুরে সাধারণ মানুষের খোঁজ নিয়েছেন। গত দুইদিনের সফরে কুমিলায় এসে মন্ত্রী গত ২৪ জানুয়ারী ও ২৫ জানুয়ারী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চৌদ্দগ্রামে মন্ত্রীকে বরণ করে নেয়ার জন্য পথ সভা থাকলেও মন্ত্রী তার নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করতেও ভূলে যাননি। তিনি ২৪ জানুয়ারী ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের ডাবল লাইনের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি গুনবতী বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত পথ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। তারপর তিনি জগন্নাথদিঘি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠনে যোগদেন এর মাঝে মাঝে পথে পথে মন্ত্রীকে বরণ করে নিতে নানা রঙে ব্যানার ফেস্টুন আর তোরণে তোরণে সাজানো হয় রাস্তা আর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সর্বশেষ রাত ৮টায় নিজ ঘরের সন্তানকে বরণ করেনিতে মন্ত্রীর জন্মস্থান শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা সহ পাশ্ববর্তী গ্রামের সাধারণ মানুষ আয়োজন করে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুলে ফুলে মন্ত্রীকে সিক্ত করেন তার নিজ মাতৃভূমির সর্বস্বতরের মানুষ। আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। পরে মন্ত্রী তার নিজ গ্রামের বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন। রাত্রিযাপন শেষে ২৫ জানুয়ারী দুপুর ১২টা থেকে মন্ত্রী আবারো যোগদেন পথসভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদেন এর মধ্যে ছিলো চিওড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কতৃর্ক আয়েজিত পথসভা, বাতিসা ইউনিয়ন কতৃর্ক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সংবর্ধনা ও পথ সভা এবং সর্বশেষ সন্ধ্যায় উজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কতৃর্ক আয়োজিত পথ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান। করেন প্রতিটি অনুষ্ঠানেই মন্ত্রীকে বরণ করে নিতে ফুলে ফুলে সাজিয়ে তৈরি করা হয় তোরণ। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবময় দেওয়ান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূঁঞা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী সেলিম, ভাইস চেয়ারম্যান নরুল ইসলাম হাজারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন টিপু, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল মজুমদার, আলকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাঈল হোসেন বাচ্চু, গুনবতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, মুন্সিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজ আলম, কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন মজুমদার, বাংলাদেশ আওয়ামীযুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু তাহের, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ বি এম এ বাহার সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
