চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : জামিনে মুক্ত ছাত্রলীগ কর্মি মোমিনুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিয়ে আসার সময় ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের কাছে পৌছুলে দুবৃত্তরা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনার জের ধরে চুয়াডাঙ্গা শহরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ মহড়া শুরু করেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ মহড়া চলে। দু’গ্রুপের মধ্যে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহড়া চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের গাড়ি শহরে টহল দেওয়া শুরু করলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। মহড়া চলাকালে জেলা বিএনপির দুটি অফিসও ভাংচুর করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল কবির চৌধুরি জানান, পুলিশ লাইন থেকে পুলিশের একটি ভ্যান (চুয়াডাঙ্গা-ম-১১-০০১২) আসার সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ছাত্রলীগ কর্মিরা। ইটের আঘাতে গাড়ির বামদিকের একটি কাচ ভেঙে যায়। শহিদুল ইসলাম (২২) নামের এক পুলিশ কনেস্টবল আহত হন। ছাত্রলীগের একটি গ্রæপ ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের সাইনবোর্ড ভাংচুর করে। তারা কয়েকটি দোকান ও ৫-৬টি অটোরিকসা ভাংচুর করে। জেলা বিএনপির নেতা খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার ব্যক্তিগত অফিস ও জেলা বিএনপির আরেক নেতা সৈয়দ কামরুজ্জামানের অফিসেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ভাংচুর করা হয়।
রাত ৮টা দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফির বাড়িতে একদল দূবৃত্ত হানা দিয়ে তার ছেলের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানান অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফি। তারা শফিকুল ইসলাম শফির স্ত্রী শাহেদা খানম অ্যনির (৪০) হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আহত শাহেদা খানম অ্যানিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মহড়া চলাকালে শহরবাসীর মনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। শহরের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। শহরে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়। রাত ১০টায় সদর থানার ওসি আরো জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত।
ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় তাদের অভিমত জানা যায়নি।
