পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে স্থানীয় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে পলিথিনে আবৃত শুকনা পদ্ধতিতে আপদকালীন বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে আদর্শ কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এই পদ্ধতিতে কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতা করছে “ডিজাস্টার এন্ড ক্লাইমেট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইন এগ্রিকালচার প্রকল্প”। সনাতন পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় হলুদ বর্ন ধারণ করায় চারা নষ্ট হয়ে যায় এবং চারা তৈরীতে বেশি সময় লাগে (৮০-৯০) দিন ।
শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম, কুদ্দুস, গানইরের আশরাফুল, তেতুলিয়ার সোলাইমান ও ঘাটনগর মেদার মোশারফ জানায় শুকনা পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা তৈরী করলে তীব্র শীতেও নষ্ট হয় না এবং কম সময় লাগে (২৫-৩০)দিন। কম বয়সেই চারা রোপন করা যায়। এই বোরো ধানের চারা তৈরী করতে কোন প্রকার রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয় না। সামান্য শুকনা ঝুর ঝুরে গোবর মিশ্রিত মাটি দিয়ে বীজতলায় ছিটানো বীজগুলিকে পলিথিন দিয়ে ঢেঁকে দিতে হয়। এজন্য শুকনা পদ্ধতির প্রতি উপজেলার কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন।
পোরশা উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মরত উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এই পদ্ধতিতে বীজতলায় রাসায়নিক সার ব্যবহার না করাই ভালো। শুকনা পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করলে প্রতি শতক বীজতলা তৈরী করতে খরচ হয় প্রায় ৯’শ টাকা। সনাতন(কাদা) পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করতে প্রতি শতকে খরচ হয় প্রায় ১১’শ টাকা। পলিথিন আবৃত শুকনা পদ্ধতিতে বীজতলা করলে শৈত্যপ্রবাহে চারা নষ্ট হয় না এবং ফলনও বেশি হয়। তাই স্থানীয় কৃষি বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে সকল কৃষক যাতে সনাতন(কাদা) পদ্ধতি বাদ দিয়ে শুকনা পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে। এতে কৃষকদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে বলেও তিনি আসা করেন।
