ads

বুধবার , ২২ জানুয়ারি ২০১৪ | ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

>>

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জানুয়ারি ২২, ২০১৪ ৮:২৯ অপরাহ্ণ

Chhatak Photo--Upozila---1 copyজাকির হোসেন, ছাতক (সুনামগঞ্জ)   উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তপশীল ঘোষনার পর ছাতকে প্রায় ডজনখানেক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। এখনো সরাসরি প্রার্থীতার কথা না বললেও কৌশলে অনেকেই গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। আ.লীগ, বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডজনখানেক প্রার্থীর মধ্যে ৮জন প্রার্থীই ছিলেন আ.লীগ সমর্থিত। পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলয়ের ৬জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিলে মুলত ৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হয়।

Shamol Bangla Ads

এরমধ্যে উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আবরু মিয়া তালুকদার, সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. আবুল হাসান। এ বছর উপজেলা নির্বাচনে এদের মধ্যে শামীম আহমদ চৌধুরী ও এড. আবুল হাসান নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দশম জাতীয় নির্বাচনের রেষ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সর্বত্রই আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে জোরে-সুরে। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে হাটবাজারে ও বিভিন্ন আড্ডায় উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সাধারণ ভোটাররা যুক্তি-তর্কে লিপ্ত থাকতে দেখা গেছে।

বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তথা ১৮দলীয়জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দল নির্বাচন বর্জন করায় উপজেলা নির্বাচনে আবারো প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার দাবী করছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। সহসা জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা প্রয়োজন বলে মিজানুর রহমান চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে বিপুল ভোটের মাধ্যমে আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলে তারা আশাবাদী। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তে গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

Shamol Bangla Ads

তিনিও নেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনেই অংশ নেবেন না। তবে নেত্রীসহ দলীয় হাইকমান্ডের ইঙ্গিত পেলে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। আ.লীগের প্রার্থী আবরু মিয়া তালুকদার এ বছর নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তার কর্মী-সমর্থকরা জানিয়েছেন। গত নির্বাচনে তিনি সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

তার অগনিত কর্মী-সমর্থকদের বিশ্বাস এ বছর নির্বাচন করলে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। এ ব্যাপারে প্রবীন রাজনীতিবিদ আবরু মিয়া তালুকদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে আ.লীগের রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত রয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তকে সবসময়ই মুল্যায়ন দিয়ে আসছেন তিনি। দলীয় সিদ্ধান্ত পেলে এবং স্থানীয় এমপির সমর্থন পেলে তিনি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বছর উপজেলা নির্বাচনে একাধিক নতুন মুখ নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া মাজকুর পাবেল, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাইফুর রহমান চৌধুরী খোকন, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, আ.লীগ নেতা অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, ভাতগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস মিয়া, গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি, আ.লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা ও পৌর জামায়াতের আমীর এড. রেজাউল করিম চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল জানান, তিনি গত নির্বাচনেও একজন শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। শুধু দলীয় সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এ বছর নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া মাজকুর পাবেল জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অন্যতম। দলীয় নয়- পছন্দের প্রার্থীকেই ভোটাররা বেঁচে নিয়ে থাকেন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং বিজয়ী হবেন বলে তিনি মনে করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস মিয়া উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে জানান, তিনি একাধিকবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকাবাসীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন তাকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনে উৎসাহিত করছেন।

তিনি উপজেলাবাসীর সমর্থন নিয়েই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন। ছাতক পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, দলীয় সমর্থন পেলে ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাইফুর রহমান চৌধুরী খোকন দলীয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থন পেলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পৌর জামায়াতের আমীর এড. রেজাউল করিম জানান, দলীয় নয়- তিনি সম্মিলিত নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন।

আ.লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা জানান, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, ছানাউর রহমান ছানা, কেন্দ্রিয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিল­াল আহমদ, যুবলীগ নেতা আব্দুস শহিদ মুহিত চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে নির্বাচনের তপশীল ঘোষনার পর এখানের ভোটাররা সকলের অংশ গ্রহনে একটি উৎসব মুখর নির্বাচনের অপেক্ষা করছে। নির্বাচনের সুষ্ট পরিবেশ থাকলে প্রার্থী তালিকা আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!