স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুর-জামালপুরের সীমানাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত: ৩৫ জন আহত হয়েছে। ২২ জানুয়ারী বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চলে প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে দোকান-পাটে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ১৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও এক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে সহিংসতা নিয়ন্ত্রনে আনে। এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় শেরপুর ও জামালপুর জেলার সীমানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে সংঘর্ষে আহতরা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে।

জানা যায়, শেরপুর-জামালপুর জেলার সীমানা নিয়ে উভয় জেলার সীমানা সংলগ্ন অধিবাসীদের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে বুধবার সকালে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ব্রীজ সংলগ্ন দক্ষিনপাড়ের জামালপুর জেলা সদরের ছনকান্দা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির সাথে শেরপুর সদর উপজেলার ব্রীজের উত্তর প্রান্তের কুলুরচর গ্রামের এক ব্যক্তির মোবাইলের সিম কেনা নিয়ে প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে দুই জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে সকালে ব্রীজের দক্ষিনপাড়ের জামালপুর জেলা সদরের ছনকান্দা গ্রামের বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ব্রীজের দক্ষিন পাড়ে বসবাসরত শেরপুর সদর উপজেলার কুলুরচর গ্রামের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকান-পাটে হামলা চালায়। এসময় ৮ টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ১০ টি দোকানে লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়।
খবর পেয়ে প্রথমে জামালপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলেও দুই পক্ষের সংর্ঘষ থামাতে হিমশিম খায়। পরে সেখানে র্যাব, আর্মড পুলিশ ও শেরপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে প্রায় ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। বর্তমানে শেরপুর ও জামালপুর জেলার ব্রীজের উভয় পার্শ্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ব্রীজের দক্ষিন পাশে জামালপুর জেলা শহরের বানিয়াবাজার এলাকায় বসবাসরত শেরপুরের লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
এব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
