ads

বুধবার , ২২ জানুয়ারি ২০১৪ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

রাজাপুরে দখলীয় হিন্দু পরিবারের সমাধি ও পৈত্রিক বসতভিটা উদ্ধার করেছে পুলিশ

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জানুয়ারি ২২, ২০১৪ ৩:২৪ অপরাহ্ণ

jhalakati hindu bari picঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মদদে সংখ্যালঘু অমিয় বালার পরিবারের সমাধি ও বসতভিটা স্থানীয় ভূমিদস্যুরা দখল করে নেয়ার পর উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে রাজাপুর সদরের টিন্ডটি রোডে এ ঘটনা ঘটেছে। জেলা প্রশাসন যখন ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘু নির্যাতন ঠেকাতে সচেষ্ট ঠিক তখন রাজাপুরে এক অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারের বসতভিটা ও সমাধিস্থল অর্ধশত লোকজন এ দখল করে নেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা আক্তার সহযোগিতা করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে। এ সময় দখলদারদের বাধা দিতে গেলে জমির মালিক মৃত. নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রির স্ত্রী অমিয় বালা (৫৫) কে মারধর করেছে দখলকারীরা। সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে ২ টা পর্যন্ত রাজাপুর শহরের মধ্যে টিএন্ডটি রোডে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অমিয় বালা ও তার পরিবার অভিযোগ করেছে। অমিয় বালা বলেন, শত বছরের পুরাতন পূর্ব পুরুষের বসতভিটায় তারা বসবাস করে আসছে। সোমবার দুপুরে কবির ও শিপন নামে দুই ব্যক্তি অর্ধশত লোকজন নিয়ে এ জমি তাদের বাদী করে ঘর থেকে চলে যেতে বলে। আমি বের হতে না চাইলে আমাকে মারধর করে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেয়। এমন কি এক ব্যক্তিকে সার্ভেয়ার দাবি করে তাকে নিয়ে একতরফা পরিমাপ করে আমার স্বামীর সমাধি সহ বিপুল অংশের জমি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। দখলি জমিতে উপস্থিত শিপন বলেন, ‘আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে ওই জমি লিজ নিয়েছি। তাই আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে একজন সার্ভেয়ার নিয়ে জমি মেপে চিহ্নিত করে দখল বুঝে নিয়েছি। তবে শিপন তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। অমিয় বালার ছেলে অনিমেষ মিস্ত্রি বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি সরকার ভুলক্রমে অ্যানিমি প্রোপার্টিতে লিপিবদ্ধ করেছে। যা নিয়ে ঝালকাঠি আদালতে সরকারের সাথে আমাদের মামলা চলছে। কিন্তু মামলার কার্যক্রম বহাল থাকা সত্তে¡ও ইউএনও কিভাবে এই জমি লিজ দেন তা আমাদের জানা নেই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরো বলেন, এই জমিই আমাদের শেষ সম্বল। তা দখল হয়ে গেলে আমাদের আর কোন উপায় নেই। এ ব্যাপারে বিরোধীয় সম্পত্তি মেপে বুঝিয়ে দেয়া ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা আক্তারের লিখিত নির্দেশে জমি মাপ দেন ও সরকারী আওতায় নেন। তবে তিনি কাউকে দখল বুঝিয়ে দেননি বা কাটাতারের বেড়া দেননি। উক্ত জমির বর্তমান দখলদারকে কোন নোটিস দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ইং উক্ত দাগের সকলকে স্ব স্ব কাগজ পত্র নিয়ে ভূমি অফিসে উপস্থিত হতে দেয়া নোটিসের কপি বের করেন। কিন্তু তিনি সোমবার জমি মাপার বিষয়ে কোন নোটিস দেখাতে পারেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা আক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি অফিসে না থাকায় সেলফোনে যোগাযোগ করা হয়। এবিষয়ে তিনি বলেন ‘ওই জমির মালিক কারা তা আমার জানা নেই। এটি সরকারি জমি বিধায় এক পক্ষকে লিজ দেওয়া হয়েছে। আদালতে মামলা চলাকালীন বিরোধীয় সম্পত্তি দখল বুঝিয়ে দেয়া যায় কিনা জানতে চাইলে মামলার বিষয়টি তিনি অবগত নয় বলে ফোন রেখে দেন। এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই আতিক জানায়, আমি মৌখিক অভিযোগ পেয়েই ৫জন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই ও উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে সন্ধ্যায় থানায় আসতে বলে নিরাপত্তার জন্য ৫ জন কনেষ্টবলকে ঘটনাস্থলে পাহাড়ায় নিয়োজিত করি। রাজাপুর থানার ও সি নজরুল ইসলাম বলেন, মিটিংয়ে থাকার কারণে পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অমিয়কে ঘরে উঠিয়ে দিয়েছি। নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে স্থিতাবস্থা জারি করেছি। ঝালকাঠি জেলা হিন্দুবৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দুলাল সাহা বলেন, আমরা মঙ্গলবার রাজাপুরের সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। পুলিশ প্রশাসন সঠিক ভূমিকায় থাকলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অপেক্ষা করলেই এর ফলাফল দেখা যাবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!