মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী তারিক মহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (৩৫) যৌথ বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ১৯ জানুয়ারী রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মেহেরপুর শহরের উপকন্ঠে বন্দর শ্বশানঘাট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম। ঘটনাস্থল থেকে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫টি ককটেল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন জামায়াত করার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রোববার দুপুরে তারিক মহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর সহযোগিদের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়। সেমত তারিককে নিয়ে বন্দর শ্বশানঘাট এলাকায় পৌছালে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এ সময় তারিকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তারিকের লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। হরতাল-অবরোধের সময় সড়কের পাশে সরকারী গাছ কাটা, ককটেল বিষ্ফোরণ ও পুলিশের উপর হামলা সহ কয়েকটি মামলার আসামি ছিলেন তারিক মহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এদিকে নিহতের সেজ ভাই তৌফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, পুলিশ গ্রেফতার করে ১১ ঘন্টা পরে গুলি করে হত্যা করেছে। সে জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে জাড়িত থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ভোর থেকেই তারিক মহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে একনজর দেখার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল লাশ ঘরে অসংখ্য মানুষের ভিড় জমতে দেখা গেছে। লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনসহ শুভাকাঙ্খিরা। এদিকে মেহেরপুর জেলা ছাত্রশিবিরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
তারিক মহাম্মদ এর লাশ গতকাল ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলে এদিন বাদ আসর শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আত্মীয় স্বজন,দলীয় নেতাকর্মী সহ হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। জানাজা শেষে পৌর কবরস্থানে তারিক মহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য তারিক মহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আলহাজ্জ ছমির উদ্দিনের বড় ছেলে। ছমির উদ্দিন এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে আমেরিকা বসবাস করছেন।
