ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে কিন্ডারগার্টেনের বইয়ের নাভিশ্বাস ওঠা দাম রাখছে পুস্তক বিক্রেতারা। তবে পুস্তক বিক্রেতারা দোষ চাপাচ্ছে প্রকাশকের ঘাড়ে। বই কিনতে গেলে দাম শুনে দিশেহারা হয়ে পড়ছে অভিভাবকরা।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, প্রাথমিকসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মূল্য তালিকার নীতি নির্ধারন থাকলেও কিন্ডারগাটের্নের বইয়ের মূল্য তালিকার নীতিমালা না থাকায় প্রকাশক ও বিক্রেতারা ইচ্ছেমাফিক নাভিশ্বাস ওঠা দাম রাখছে। দ্বিতীয় শ্রেণির ৯ টি বইয়ের মূল্য ৮৪১ টাকা। যার ওজন ৮৫০ গ্রাম, তাহলে এখানে প্রতি গ্রামের মূল্য পড়েছে প্রায় ১ টাকা। শতকরা ২০ টাকা কমিশন কমিয়ে দাম রাখা হয়েছে ৬৮০ টাকা। যারমধ্যে একেকটি বইয়ের মূল্য তালিকা ৩/৪ বার করে পরিবর্তনের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্ডারগার্টেনের কর্তৃপক্ষ বুক লিষ্টের মাধ্যমে শিশু শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বই ক্রয়ের নির্দেশনা দিয়ে থাকে। কিন্তু ঝালকাঠি শহরে শিক্ষা নয় ব্যবসায়ীক উদ্যেশ্যে গড়ে ওঠা প্যারেন্টস প্রেয়ার কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক বিদ্যালয়ের একই নামে লাইব্রেরী খুলে সেখান থেকে সেটসহ কমিশন বাদে বই কেনা বাধ্যতা মূলক করেছে। এছাড়াও শুধু ব্যবসায়ীক কারণে অপ্রয়োজনীয় কয়েকটি বই পাঠ্য করেছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এধরণের অভিযোগ অনেক দিনের পুরনোহলেও কোনক্রমেই বন্ধ হচ্ছে না এ নাভিশ্বাস ওঠা বাণিজ্য। প্রতিটি বই বিক্রি হচ্ছে সরকারী বইয়ের ৪/৫ গুন বেশি দামে। সরকারের বিক্রয় নীতিমালা দূর্বল হওয়ায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারছেনা বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন অভিভাবকগন। ঝালকাঠি পুস্তক বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মাওঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রকাশনা থেকে যেভাবে মূল্য নির্ধারণ করে দেয় আমরা সেভাবেই বিক্রি করি। আমরা পারি কমিশন বাদ দিয়ে বিক্রি করতে। কমিশন বাদ দিয়ে বিক্রি না করলে সেটা চরম জুলুমবাজের কর্মকান্ড। ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আঃ রউফ মিয়া বলেন, নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই বিক্রির উপর বিধি নিষেধ থাকলেও কিন্ডারগার্টেন বই বিক্রির উপর কোন নীতিমালা নেই। তবে অতিরিক্ত দাম রেখে ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘন করলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
