আমতলী প্রতিনিধি : আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইসহাক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি একাডেমিক ভবনের দোতলার পুরো অংশ একটি বানিজ্যক প্রতিষ্ঠানের কাছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দিচ্ছেন। অথচ শ্রেনীকক্ষ সংকটে জরাজীর্ন একটি কাঁচা টিনের ভবনেও শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ স্যাতস্যাতে, কাঁচা মেঝের টিনের ভবনটিতে গরমের দিনে বিশ্রি গরম পড়ে আবার শীত কালে প্রচন্ড ঠান্ডা পোহাতে হয়। জীর্ন টিনের চালা দিয়ে আকাশও দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে মোট ৪ টি ভবন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি পুরাতন একতলা ভবনে প্রশাসনিক কক্ষসহ শ্রেনী কক্ষ, জরাজীর্ন টিনের তৈরী কাঁচা মেঝের ভবনটিতে এবং আধুনিক দোতলা ভবনের নীচতলায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। একটি ভবন রয়েছে পরিত্যাক্ত অবস্থায়। আধুনিক দোতলা ভবনের দোতলায় ‘গ্রামীণ শক্তি’ নামের সৌর বিদ্যুতের যন্ত্রপাতি বিক্রির একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝোলানো রয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর ধরে ঐ ভবনের দোতলার অংশটি ভাড়া দেয়া হচ্ছে। এর আগে সেখানে ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ এবং ‘ইউএসটি’ নামের একটি বেসরকারী সংস্থার দপ্তর ছিল। ভাড়ার মাধ্যমে আয় হওয়া অর্থ কী খাতে ব্যবহৃত হয় সে ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

বর্তমানে ভাড়া নেয়া গ্রামীণ শক্তির ব্যবস্থাপক শেখ হেলাল উদ্দিন জানান, এক বছর ধরে মাসিক আড়াই হাজার টাকায় ভবনের দোতলা ভাড়া নিয়ে অফিস এবং তার বাসা হিসেবে ব্যবহার করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদত হোসেন সেলিম মুঠোফোনে জানিয়েছেন, “বিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী (রেজ্যুলিশন) ভবনটি ভাড়া দেয়া হচ্ছে। এখানে সমস্যা কোথায় !” তিনি ব্যস্ত আছেন বলে আর কোন কথা বলতে চাননি।
এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, বিষয়টি তিনিও দেখেছেন এবং জেনেছেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভবনটি ভাড়াটিয়া মুক্ত করতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
