আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বোরো মৌসুমে জমিতে শুকনো বীজতলা ধানের চারা উৎপাদন কৃষকদের মাঝে অভানীয় সাড়া জাগিয়েছে। কৃষি বিভাগের নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একদিকে যেমন ৫০ ভাগ বীজ কমিয়ে আনা সম্ভব । অন্যদিকে উৎপাদন খরচ সম রেখেই ফলন প্রায় ৩০ ভাগ বৃদ্ধি সম্ভব বলে কৃষিবিদরা মনে করেন।

আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, আসন্ন বোরো মৌসুমে উপজেলায় মোট ৭৪৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা নির্ধারন করা হয়। এর মধ্যে ১ হেক্টর জমিতে পলিথিনে আবৃত শুকনো বীজতলায় ধানের চারা উৎপাদন পদ্ধতিতে নেয়া হয়। উপজেলার কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও বøকের এস.এ,এ,ও গনের সার্বিক পরামর্শে ও সহযোগীতায় বিভিন্ন বøকে কৃষকরা আদর্শ শুকনো বীজতলা তৈরী করে তাতে অংকুরিত ধান বীজ ছিটিয়ে গোবর মিশ্রিত মাটি দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সম্পূর্ন বীজতলা পলিথিন (কালো পলিথিন ব্যতীত) দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। মাটিতে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা সম্পন্ন যেকোন শুকনো স্থানেই এটি সহজে করা যায়। তবে দো-আঁশ মাটি হলে উত্তম হয় বলে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহাদুজ্জামান জানান। প্রতি বর্গমিটারে ৫০-৬০ গ্রাম ধান বীজ প্রয়োজন হয়। ২০-২৫ দিন ঢেকে রাখার পর ধানের চারা গুলো রোপনের উপযোগী হয় যা ২৫-৩০ শতাংশ ফলন বৃদ্ধিতে অগ্রনি ভুমিকা রাখে।
গত সোমবার বিকেলে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক এ.এইচ. বজলুর রশীদ আদমদীঘির ইন্দইল গ্রাম পরিদর্শন করেন। সেখানে বড় আখিড়া বøকের কৃষক আলতাফ হোসেনের শুকনো জমিতে পলিথিনে আবৃত শুকনো বীজতলা পর্যবেক্ষন করে সন্তোষ প্রকাশ করে শুকনো বীজতলার সুবিধার দিক তুলে ধরে কৃষকদের পরামর্শ দেন। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আদনান বাবু উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুকেল চন্দ্র পাল সহ এলাকার কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে পলিথিনে আবৃত শুকনো বীজতলায় ধানের চারা উৎপাদন এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আগামীতে এর প্রসার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
