আজহারুল হক, গফরগাঁও : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মেহেদির রঙ মুছতে না মুছতেই সীমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস ১০ দিন পূর্বে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের রইছ উদ্দিনের কন্যা সীমা আক্তারের (১৮) সাথে যশরা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোহান্মদ আলীর ছেলে সোলায়মানের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৮০ হাজার টাকা ধার্য করে নগদ ১২ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি টাকার জন্য বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই স্বামী সোলায়মান গৃহবধু সীমা শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার শুরু করে। এ অবস্থায় ১৯ জানুয়ারী রবিববার সকালে গৃহবধূ সীমাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে স্বামী সোলায়মান ও বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
গৃহবধূর বাবা রইছ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই অত্যাচার করতো। টাকা না পেয়ে তার আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে গফরগাঁও সদর থানার সেকেন্ড অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িতে পরিবারের কোন সদস্যকে পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
