রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আশ্চর্য প্রকৃতির এক শীত বাহাদুর রয়েছে। যার নাম খাইরুল ইসলাম। উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মৃত: হযরত আলীর ছেলে শীত বাহাদুর খাইরুল । তার বর্তমান বয়স ৪৯ বছর। তীব্র শীত সইতে না পেরে প্রতিদিন বাংলাদেশে মানুষ মারা যাচ্ছে। হাজার হাজার জীব জন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু খাইরুল তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে খালি শরীরেই সকল কাজ কর্ম সফল ভাবেই করে বেড়াচ্ছেন।

জানা যায়, শীত বাহাদুর খাইরুল ১৯৯১ইং সাল থেকে আজ পর্যন্ত শরীরে শুধু লুঙ্গি ছাড়া কোন প্রকার পোশাক ব্যবহার করেন না। তিনি তীব্র শীতের মাঝেও শীত বস্ত্র ছাড়াই স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তিনি পেশায় একজন কাঠুরিয়া। সকাল হলেই খালি শরীরে দা- কুড়াল নিয়ে নেমে পড়েন জীবিকা অর্জনের উদ্দেশ্যে। মাঠে, ঘাটে ও বাজারে সর্বত্রই পোশাকহীন শরীরেই চলাফেরা করেন তিনি।
শীত বাহাদুর খাইরুল জানান, আমি অতি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছি। আমার পিতা- মাতা ছোট কাল থেকে স্বচ্ছলভাবে চলাচল করার মত তেমন কোন পোশাক কিনে দিতে পারেননি। শীতেও দিতে পারেনি শীত বস্ত্র। তাই পোশাক ছাড়া চলতে চলতে খালি শরীরে থাকা আমার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। ১৯৯১ইং সালের পূর্বে হালকা পাতলা পোশাক ব্যবহার করলেও তার পর থেকে আর কোন পোশাক পরিধান করিনা। সকলে শীত শীত করে কাতর কিন্তু আমি শীত কি তা বুঝতেই পারিনা। শীত গরম সকল মৌসুমেই আমি একই ভাবে থাকি। গরমেও বুঝতে পারিনা তীব্র গরমের কি জ্বালা।
