আজহারুল হক, গফরগাঁও : মেধাবী ছাত্র মোস্তাক আহমেদ সেলিম প্রথম বিভাগে মাস্টার্স পাশের খবর শুনে মায়ের বুক ফাটানো আর্তনাদ আর গগনবিদারি চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠল। মা শরিফা খাতুন(৫৫) ছেলের এমন ফলাফলে তার বাড়ির পরিেেবশ মুহুর্তেই হরিষে বিষাদ হলো। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামে মোস্তাক আহমেদ সেলিমের বাড়িতে গিয়ে হতবিহŸল হয়ে পড়েন তার কয়েকজন সহপাঠী। মোস্তাক আহমেদ সেলিম আকন্দ এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে প্রথম বিভাগে পাশ করেছেন। তার ছোট বোন রোজী আক্তার জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইকবাল হোসেন নামে সেলিমের এক সহপাঠি মোবইল ফোনে বড় ভাই সেলিমের কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের সংবাদ দেয়। মুহুর্তেই মা শরিফা খাতুন ছেলের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদকে কাঁদতে কবরে উপর আছড়ে পড়েন।
প্রসঙ্গত, গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আবুল মুনসুর আকন্দের ছেলে, ময়মনসিংহ আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র ছিলেন মোস্তাক আহমেদ সেলিম আকন্দ (২৭)। গত ১০অক্টোবর ফাইনাল পরীক্ষা শেষে বাড়ি আসে। সেদিন রাতেই নিজের ঘরে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার সময় অসাবধান বশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। মোস্তাককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে সে মারা যায় ।
