ads

শনিবার , ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ | ৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আদমদীঘিতে শিশু অপহরনের পর হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবক মহল শংকিত

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জানুয়ারি ১৮, ২০১৪ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ

adamdighi-18-01-14আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় শিশু অপহরন করে মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে হত্যা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবক মহল শংকিত হয়ে পড়েছেন। মাত্র ১৯ দিনের ব্যবধানে ৩ শিশু অপহরনের পর ২ শিশু খুন হওয়া ঘটনায় অনেক পিতা মাতা তাদের সন্তানদের একা বিদ্যালয়ে পাঠাতে ও বাড়ীর বাহিরে রাখতে ভয় পাচ্ছেন। ওইসব অপহরন ও খুনের ঘটনায় থানায় পৃথক ৩টি মামলা ও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হলেও মুল হোতাদের পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, ইদানিং বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় অভিনব কায়দায় একটি মহল শিশু অপহরন করে মোটা অংকের মুক্তিপন দাবী করছে। মুক্তিপনের টাকা না পেেেয় কোমলমতি শিশুদের খুনের পথ বেছে নিচ্ছে অপরাধীরা। ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার সাওইল গ্রামের ইট ভাটা মালিক বজলুর রহমান বুলুর শিশু পুত্র ১ম শ্রেনীর ছাত্র জিসান (৭) কে ইসলামী জলসা থেকে কৌশলে অপহরন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়। ওই টাকা দিতে না পারায় অপহরনকারীরা ৫ দিন পর ৩ জানুয়ারী জিসানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যা মামলায় সন্দেহজনকভাবে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন সকালে বড় আখিড়া গ্রামের মালোশিয়া প্রবাসি সেলিম দেওয়ানের পুত্র সান্তাহার কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ইউসুফ আলী (১১ কে আত্মীয়ের পরিচয়ে তার সহপাটির সহযোগীতায় অভিনব কায়দায় অপহরন করার পর ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় অপহরনকারীরা ইউসুফ আলীকে রাতে কয়াকুঞ্চি এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাতে আহত করে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় ইউসুফ আলীর মা রতœা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করলেও মুল হোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ওইসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ১৬ জানুয়ারী বিকেলে উপজেলার কালাইকুড়ি গ্রামের ছায়ফুল ইসলামের শিশু পুত্র স্বাধীন (৫ ) কেও অভিনব কায়দায় তার আপন মামাতো ভাই আহসান হাবিব ওরফে মহানুর অপহরন করার পর হাত পা বেঁধে মুখে পলিথিন গুজে শ্বাসরোধে হত্যা করে একটি শ্যালো মেশিনঘরে ফেলে রেখে যায়। পুলিশ রাতে স্বাধীনের লাশ উদ্ধার এবং হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মহানুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম জানান। এদিকে মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে ৩ শিশু অপহরনের পর জিসান ও স্বাধীন নামে ২ শিশুকে খুন ও ইউসুফ আলী নামের অপর শিশুকে হত্যার চেষ্টা ঘটনায় অভিভাবক মহল শংকিত হয়ে পড়েছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!