কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রীজের কাছে পদ্মা নদীর বালু মহল দখল নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বৈধ ইজারাদার’র লোকজন কে সরিয়ে বালু মহলে এবং তরিয়া মহলে প্রতিপক্ষের ক্যাডাররা এখন সশস্ত্র অবস্থায় পাহারা দিচ্ছে। অন্য দিকে বালু মহল দখলে রাখতে এখন মরিয়া বৈধ ইজারাদাররা। এ নিয়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে উভয় গ্রুপের মধ্যে। যে কোন সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংর্ষের আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের বলে ভেড়ামারা উপজেলার আড়াঁজিসাড়া বালুমহল দখল পান মেসার্স বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ’র টনি বিশ্বাস এবং আবু সাঈদ খাঁন। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম তাকে বালু মহল বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকেই বালু মহল দখলে ছিল বিশ্বাস এন্টারাপ্রাইজ’র। কিন্তু হঠাৎ করেই কোন কারন ছাড়াই প্রতিপক্ষ এনাম বিশ্বাস গ্রুপ সশস্ত্র অবস্থায় বালু মহলে হানা দিয়ে বৈধ ইজারাদারদের সরিয়ে দখল করে নেয় ভেড়ামারার আড়াঁজিসাড়া বালু মহলটি।
বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ‘র আবু সাঈদ খাঁন জানিয়েছেন, ভেড়ামারার আড়াঁজিসাড়া বালুমহল টি সরকারী বিধি মোতাবেক আমরা পেয়েছি। কিন্তু ভূমিমন্ত্রী হিসেবে ডিলু শপথ নেওয়ার পরই তার ক্যাডার বাহিনী ভূমিদস্যু এনাম বিশ্বাস, আব্দুস সালাম খাঁন তরি কালাম, মন্টু, আরিফ সহ সশস্ত্র ক্যাডাররা আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে আমাদের লোকজনদের উপর হামলা চালিয়ে দখল করে নেয় বালু মহলটি। ইতোপূর্বেও ভূমিদস্যুরা বালু মহলে শক্তি প্রদর্শন করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন করে আছাদুজ্জামান আছা এবং হারুনার রশিদ হারুন সহ ১৫/২০ জনকে হত্যার হুমকি দেয়। এরপর যুবলীগ নেতা আছার ভেড়ামারাস্থ বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় এবং মেরে ফেলার উদ্দ্যেশে কয়েক রাউন্ড গুলি করার ঘটনা ঘটে।