পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: পিএসসি ও জেএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া তাসলিমা ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। কিন্তু দারিদ্রতার কারনে আজ তার পড়া- লেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তবে তার ডাক্তারর হওয়ার স্বপ্ন কি স্বপ্নই থেকে যাবে ? তাসলিমা ২০১০ সালে পিএসসি পরিক্ষায় ও এ বছর নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া-ঝাঞ্জাইল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের নাটেরকোনা গ্রামে তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম । তারা দু’ বোন এক ভাই, সে সবার বড়। ছোট ভাই ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ও বোন নবম শ্রেণীতে পড়ে। তার বাবা দিনমজুর নজরুল ইসলাম পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া মাত্র এক শতক জমিতে একটি খুড়েঁ ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে কংস নদ থেকে বালু উত্তোলন করে যা পায় তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে হয় এর মধ্যে তিন সন্তানের লেখা-পড়ার খরচ চালিয়ে যাওয়াও বেশ কষ্ঠকর।
তাসলিমার মা নূরুন্নাহার বলেন, স্বামীর সামন্য আয় দিয়ে পরিবারের ভরণপোষন চালানোই কঠিন। তারপরও কষ্ট করে তাদের পড়ালেখার খরচ চালাতে হচ্ছে। কিন্তু আশঙ্কা হয় আদৌ মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব কি ?
তাসলিমা জানায়, দারিদ্রতার কারনে তার বাবা প্রায়ই তাদের পড়া- লেখা বন্ধ করে দিতে চান। তাই তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কি কখনো পূরণ হবে ?
জারিয়া-ঝাঞ্জাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান খন্দকার বলেন, তাসলিমা খুবই মেধাবী ছাত্রী। সে সহযোগিতা পেলে উচ্চ স্তরেও ভালো ফলাফল করবে।