তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে আন্তঃজেলা ছিনতাই দলের ৩ সদস্যকে আটক করে স্থানীয় জনতা পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এরা হলেন, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বহরমদিয়াড় গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র ফটিক আলী ওরফে ইঞ্জিন(৩০), একই উপজেলার রামচন্দ্রপুরহাট গ্রামের বজলুর রহমানের পুত্র গুডলাক(২০) ও একই গ্রামের একরামুলের পুত্র হাবিব(২২)। এঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার সেলিম রেজা বাদি হয়ে ঘটনার দিন রাতে আটককৃতদের বিরুদ্ধে তানোর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ আটককৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছেন।

মামলার এজাহার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের সেলিম রেজা তার বাজাজ ক্ল্যালিভার মটরসাইকেল যোগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্ডুমালা হতে নিজ বাড়ি ফেরার পথে উঁচাডাঙ্গা একান্নপুর পাকা রাস্তায় পৌঁছামাত্র ঔঁৎ পেতে আটককৃত ইঞ্জিন, গুডলাক ও হাবিব তাকে বেরিকেট দিয়ে আটক করে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে মটরসাইকেল কেঁড়ে নিয়ে সেলিমকে গাছে বেঁধে পালিয়ে যায়। পরে সেলিম রেজার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে এমন ঘটনার জেনে বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোনে জানাতে থাকেন।
এঘটনার কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাঁধাইড় ইউপি’র জুমারপাড়া গ্রামের লোকজন পাকা রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে ছিনতাইকৃত মটরসাইকেলসহ ওই আন্তঃজেলা ছিনতাই দলের ৩ সদস্যকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃতদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন। এঘটনায় সেলিম রেজা বাদি হয়ে ঘটনার দিন রাতে আটককৃত ইঞ্জিন, গুডলাক ও হাবিবকে আসামী করে তানোর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আটককৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে থানা পুলিশ গতকাল বুধবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছেন।

এনিয়ে উপজেলার মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মজিদ জানান, রাস্তায় পুলিশি টহল থাকলেও এমন ছিনাইয়ের ঘটনা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এব্যাপারে আটককৃতদের রিমান্ডে পাওয়া গেলে মূল হোতাদের বের করা হবে।
