কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুরে বৃহস্পতিবার রাতে আরও দুই সংখ্যালঘুর বাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। এনিয়ে গত ১২ দিনে উপজেলায় ৪টি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যেও একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় গ্রামাঞ্চলের ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা আতংকিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলকোট এলাকার সবচেয়ে ধর্ণাঢ্য পরিবার বসুন্তিয়া গ্রামের তুষার মল্লিক ও অসিত মল্লিকের বাড়িতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ১০/১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল হানা দেয়। তারা অস্ত্রের মুখে গৃহকর্তাদের বেধে তাদের স্ত্রী সন্তানদের বেদম মারপিট করে ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকাসহ প্রায় ১৮ লাখ টাকার মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতরা ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে, বিছানা-বালিশ ছিড়ে তছনছ করে। এব্যাপারে অসিত মলি¬ক কেশবপুর থানায় মামলা করেছেন।
মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার ড্রাগ সুপার আসাদুজ্জামান, তার ভাই ঢাকা স্টক এক্সেঞ্জের চীফ একাউন্টেন খালেকুজ্জামান ও ডিএসইর কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান অবরোধের কারণে ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর দুটি এ্যাম্বুলেন্স ১টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেট কারযোগে স্বপরিবারে ঢাকা থেকে কেশবপুরের মধ্যকুল গ্রামে আসছিল। কেশবপুর-রাজগঞ্জ সড়কের কেশবপুরের ন্যাংটাখালি নামক স্থানে ১৫/২০ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল গাছ কেটে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের ৭টি মোবাইল ফোন, ৭ ভারি স্বর্ণালংকার ও ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। একই সময় ডাকাতরা আফিল গ্র“পের কেশবপুর ফার্মের দুটি ডিমবাহি ট্রাক আটকিয়ে চালক রবিউল ইসলাম রবি ও নাদের আলীর কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন ও পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে বলে আক্রান্তরা জানায়।

গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামের চিত্ত দাসের ছেলে ব্যবসায়ী শংকর কুমার দাসের রাড়ীর সকলকে জিম্মি করে ১০-১৫ জন মুখোশ পরা সশস্ত্র ডাকাত স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
গত ২৯ জানুয়ারি গভীর রাতে সাতবাড়িয়া গ্রামে ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান দফাদারের বাড়িতে ১৫-২০ জন মুখোশ পরা ডাকাত অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে ১টি মোটর সাইকেল, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টকাসহ ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এ সময় বাঁধা দেয়ায় ডাকাতরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গৃহকর্তা আতিয়ার রহমানকে জখম করেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল।
থানার ওসি (তদন্ত) খন্দকার শামীম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সাতবাড়িয়া ও বসুন্তিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় থানায় ২টি মামলা হয়েছে। ডাকাতির সাথে সংশি¬ষ্টদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে সাতবাড়িয়ায় ডাকাতির মামলায় ওই গ্রামের আলাউদ্দিন সানার ছেলে আন্ত জেলা ডাকাত দলের সদস্য আব্দুর রশিদ সানা ও বসুন্তিয়ায় ডাকাতির মামলায় বগা গ্রামের রেজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
