ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরাঁওয়ে নির্বাচন সহিংসতায় সংখ্যালুঘু গ্রাম গুলোতে হামলার ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে ভোট কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হত্যা, হামলা ও পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাড়ে ৪ হাজার বিএনপি জামায়াত নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামল হয়েছে থানায়। এ সব মামলায় ৩ দিনের অভিযানে ৬৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।

পুলিশ সূত্র জানায় সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ছেপড়ি কুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সহকারী প্রজাইডং অফিসার জবায়দুল হক কে হত্যা এবং ওই কেন্দ্রের নিরাপত্তা দ্বায়িত্বে থাকা আইন শৃংখলা বাহিনীর অস্ত্র ছিনতাই হামলা ও নির্বাচনের উপকরণ লুটপাট করে দুসকৃতিকারীরা। এছাড়া বাসুদেব পুর,গড়েয়া গোপালপুর,আকচা,পুরাতন ঠাকুরগাঁও,ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজ ,বালিকা উচচ বিদ্যালয় ও হাজী পাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে হামলা ভাংচুর করে নির্বাচন বিরোধীরা। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার বাড়ি ঘর অগ্নি সংযোগ,দোকান পাট ভাংচুর করে তারা। নির্বাচন কাজে জড়িত সরকারি আধা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা হামলার শিকার হন।
এসব ঘটনা ১৪১ জনের নাম উল্লেখ সাড়ে ৪ হাজার বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানা ও রুহিয়া থানা ২৫ টি মামলা হয়েছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.ইন্দ্রনাথ রায় জানান,ঝুকি ঝামলা এড়াতে সংখ্যা লুঘু পরিবারে কেউ মামলার বাদি না হওয়ায় গড়েয়া গোপাল পুর গ্রামের ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। তবে গড়েয়া গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র এলাকায় আবু হানিফ নামে এক যুবক সহিংসতায় খুনের ঘটনায় ওই এলাকার সংখ্যালুঘুদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে।
