খোরশেদ আলম,ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সবজি চাষ। গত ২/৩ বছর আগেও এখানে সবজি চাষীর সংখ্যা ছিল ৫শ’ থেকে ৭শ’। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং ধানচাষের চেয়ে সবজি চাষে অধিক লাভ জনক হওয়ায় ধান চাষ ছেড়ে দিয়ে সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রষারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সবজি চাষী রয়েছে। সেচ সুবিধার অভাবে গারো পাহাড়ে যেসব জমিতে ধান চাষ হতো না, সেসব জমিগুলোতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীসহ কৃষকরা সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
সরেজমিনে কথা হয় উপজেলার গোমরা গ্রামের কৃষকের সাথে। ওই গ্রামের কৃষক আবুল বাশার জানায়, ২৫ শতাংশ জমিতে করল্লা চাষ করতে তার ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার টাকা। আর তিনি এ পর্যন্ত করল্লা বিক্রি করেছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। কৃষক আব্দুস সালাম, হাছেন আলী, শফিকুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, তারা এবার সবজি আবাদে লাভবান হয়েছেন। এখানে উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানিও করা হচ্ছে। সবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সবজি চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. কোরবান আলী জানান, এখানে ভর-বছরই সবজি চাষ হয়। ফলে এ আবাদের প্রতি আগ্রহ বেশি কৃষকদের। সবজি আবাদ করে এ উপজেলায় স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষক।
