ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : শংকা কাটেনি। তবুও বাড়ি ফিরছে সংখ্যা লঘু পরিবার গুলো। ওই গ্রামে একটি যৌথবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এর পর থেকে কিছুটা সাহস পেয়ে সোমবার দুপুর থেকে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে গ্রামবাসীরা।
রবিবার দশম জাতীয় নির্বাচনের রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে নির্বাচনবিরোধীরা। সেখানে ত্রাস সৃষ্টি হলে ওই রাতেই প্রাণের ভয়ে দলে দলে ওই গ্রামের শত শত হিন্দু নারী পুরুষ বাড়ি ঘর ছেড়ে একটি মন্দিরে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে অনেকে পাশ্ববর্তী বোদা উপজেলায় চলে যায়।

এ খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন ওই গ্রামে এবং মন্দিরে তাৎক্ষনিক ভাব্ যৌথ বাহিনীর পাহারা বসায়। ঘটনা স্থলে ঘুরে আসে খাদ্য মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন ,জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, ঠাকুরগাঁও সেনা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্ণেল শামসুল আরেফিন, পুলিশ সুপার ফয়সল মাহমুদ ও ঠাকুরগাঁও ৩০বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামাল আহম্মেদ ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার ওই গ্রামের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.ইন্দ্রনাথ রায় ঘুরে এসে জানান,গ্রামবাসীরা মন্দির থেকে বাড়িতে ফিরচ্ছে। অপর দিকে স্থাণীয় ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্চয় চৌধূরী বলেন গ্রামবাসীদের মধ্যে আতংক কাটেনি। তবে আইন শৃংখলা বাহিনী এলাকায় টহল দেয়ায় তাদের মধ্যে ভয় কাটতে শুরু করেছে।
সদর থানা ওসি আব্দুল মান্নান জানান,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। গ্রামবাসীরা এখন নিজ বাড়িতে আবস্থান করছে।
