জাকির হোসেন, ছাতক (সুনামগঞ্জ) : ছাতকের দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকুল গ্রামের রিয়াজ উল্লাহ’র প্রায় ২একর ভূমির পাকা ধান কেটে নিয়েছে একই গ্রামের সমর আলীর পুত্র কাপ্তান আলী, আয়না মিয়া, আশিক আলী, আক্তার মিয়া, আকল মামদের পুত্র সরকুম আলী, কালাই মিয়ার পুত্র আছকির আলী, সরকুম আলীর পুত্র সাজুল মিয়া, লিটন মিয়া, জুয়েল মিয়া ও সুহেল মিয়া। আদালত ও থানা-পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা জোরপূর্বক ফসলী ভূমির পাকা ধান কেটে নেয়। গত ৬ ডিসেম্বর দিন-দুপুরে ধান কেটে নেয়ার সময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে রিয়াজ উল্লাহর পুত্র ফটিক মিয়া ও সুফি মিয়াকে মারধর করে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় রিয়াজ উল্লাহ বাদী হয়ে ১০জনের বিরুদ্ধে ১২ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের আমলগ্রহনকারী জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা (নং-৩৭৩/১৩) দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে রুজু করার জন্য আদালত ছাতক থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও এ পর্যন্ত মামলাটি থানায় রেকর্ডভূক্ত হয়নি। কির্ত্তীশাসন মৌজার ২একর ২৬শতক ভূমি নিয়ে রিয়াজ উল্লাহ ও কাপ্তান মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আদালতের ১২৯/৮৪নং স্বত্ত্বমামলার রায়ে ভূমির মালিক নির্ধারিত হন রিয়াজ উল্লাহ। এ রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছে কাপ্তান মিয়া। এমতাবস্থায় ভূমির দখলকার রিয়াজ উল্লাহ উক্ত ভূমিতে ফসল ফলিয়েছেন। কাপ্তান মিয়ার পক্ষের লোকজন এতে ধান কেটে নেয়ার হুমকি দিলে রিয়াজ উল্লাহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২১৮/১৩ইং মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত স্থিতাবস্থার আদেশসহ শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে ছাতক থানাকে নির্দেশ দেন। এতে গত ২ ডিসেম্বর থানা-পুলিশ বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষকে নোটিশ দিলেও কাপ্তান মিয়া পক্ষের লোকজন এ সময় থানায় হাজির হয়নি। তারা আদালত ও থানা-পুলিশের নোটিশ উপেক্ষা করে ৬ ডিসেম্বর সকালে জোরপূর্বক ভূমির পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়।
