: মানুষ পারে না এমন কিছু নেই, “তবে আগে উপযুক্ত হতে হবে প্রমাণ করতে হবে পরে” একটু চিন্তা ও বুদ্ধি খরচ করলেই মানুষ এগিয়ে যেতে পারে উন্নয়নের দোরগোড়ায়। ২০১৩ইং শেষে ২০১৪ইং আগমণে বাংলাদেশের মোট সরকারী ও বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮২,৮৬৪টি এবং নিম্ন মাধ্যমিক ৪,৩৭৮টি বিদ্যালয়ে বই বিতরণ করা হয়।
সারা দেশের ন্যায় রাজশাহী নগরসহ নয়টি উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে নতুন বই বিতরণ চলছিল। ছোট ছোট শিশুগুলি দল বেঁধে কেউবা, এলোমেলোভাবে নতুন বই নিয়ে গ্রামের মেঠো পথের ধার দিয়ে হৈচৈ করে ফিরছিল। আর তা বাল্যকাল স্মরণ করিয়ে দেয়। ২০১৪ইং সালের পিএসসি, জেএসসি ফলাফল আরো সাজিয়ে তুলেছে এ নতুন বছরটিকে।
এ সময় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, “বর্তমান আওয়ামী লীগ প্রধান মন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনে দুর্বার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” কিন্তু আমাদেরকে চিহ্নিত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করতে হবে। উদ্বুদ্ধ করণে গণমাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে শিক্ষার উন্নয়নে যথাযথ এ্যাডভোকেসি এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় শিক্ষামূলক বিষয় ও বিজ্ঞাপণ প্রচার করতে হবে। স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবপন্ন এককেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা।
কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনেও শিক্ষা ক্ষেত্রের একটি প্রধান সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। রাজধানীতে অবস্থিত জাতীয় প্রধান কার্যালয়গুলি ক্ষমতা ও দায়িত্বসমূহের চুড়ান্ত কেন্দ্রিভূতকরণকে। প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থাপনা সামগ্রীক বিকেন্দ্রিকরণ প্রয়োজন। ১৮৮২ইং সালে গঠিত ভারতীয় শিক্ষা কমিশন যা এই কমিশনের চেয়ারম্যান উইলিয়াম হাল্টারের নামানুসারে সমাধিক পরিচিতি- তাতেও এরুপ সুপারিশ করা হয়েছিল। প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব মূলত জেলা ও উপজেলা কর্তৃপক্ষের হাতে দেওয়া যেতে পারে। সে জন্য প্রতিটি জেলা ও উপজেলা এলাকায় একটি করে বোর্ড থাকতে পারে।
পাঠ্য পুস্তক নির্ধারণে বিদ্যালয়ের পরিচালনায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ঋতুতে কোন সময় কতক্ষণে বসবে সে ব্যাপারেও নমণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সারা দেশে মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করতে হলে এই বিকেন্দ্রিকরণ অত্যন্ত জরুরী।
লেখক : ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী, একজন সংবাদকর্মী।