মোঃ আমিনুর ইসলাম গাবতলী(বগুড়া) ঃ বগুড়ার গাবতলীতে দশম জতীয় দশম সংসদ নির্বাচন বগুড়ার গাবতলীতে ১৮ দলিয় ঐক্যজোট ও স্থানীয় জনগন বানচাল করে দিয়েছে। ফলে দুপুর সোয়া ১২ টার মধ্য সকল কেন্দ্র বন্ধকরে সংশি¬ষ্ঠ নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, পুলিশ, আনছারসহ অন্যরা থানা সদরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। অপরদিকে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি তথা ১৮ দলিয় ঐক্যজোট একতরফা ও দলিয় সরকারের অধিনে নির্বাচন না করার ঘোষনা এবং নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষনা দিয়েছিল। সে মোতাবেক সকাল সোয়া ৮ টায় বগুড়ার গাবতলী পৌর এলাকার শহীদ জিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় জনতা ও ১৮ দলের নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে হামলা চালালে প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্যরা ব্যালেট পেপার, বাক্্র, ভোটার তালিকা ফেলে পালিয়ে যায়। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ৪ টি ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে এই কেন্দ্র কোন প্রকার ভোট গ্রহন ছাড়াই বন্ধ হয়েযায়। একইভাবে সকাল সাড়ে ৯ টায় ১ টি পুরুষ ভোট পড়ার পর থানা সদরে অবস্থিত পাইলট স্কুল কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। এসময় নির্বাচন বর্জনকারী ১৮ দল ও স্থানীয় জনতার সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ প্রায় ২ থেকে ৩ শত রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছেড়ে। জবাবে নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল, রেলের পাথর ও ২০ টির অধিক ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। পুলিশ ও জনতার প্রায় ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এসময় পুলিশের গুলিতে মিজানুর রহমান (২৬), থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক সাইদুলসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে সেনাবাহিনি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৮ দল ও স্থানীয় জনতা একজোট হয়ে এশরপর এক চাকলা, নাড়–য়ামালা, মধ্যকাতুলী, নাড়–য়ামালা, জয়ভোগা, নেপালতলী, বাইগুনি, আকন্দপাড়া, রামেশ্বরপুর কেন্দ্র বন্ধহয়ে যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে সংবাদ পাওয়াযায় ব্যালেট পেপারসহ ভোটের সরঞ্জামাদীতে আগন দেয়া হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২ টার মধ্য মোট ৮৮ কেন্দ্রই বন্ধ হয়েযায়। তবে এসময়ের মধ্য সর্বোচ্চ ১ থেকে ৫০/৬০ টি ভোট প্রদানের সংবাদ পাওয়াগেছে। বেলা ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও, নির্বাচন অফিসারসহ কর্মকর্তারা রুদ্ধদার বৈঠক করলেও তারা নির্বাচন বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গাবতলী মডেল প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক জয়ভোগা নামক স্থানে দুবৃর্ত্তদের হামলায় আহত হয়েছে। অপরদিকে নশিপুর ইউনিয়নের হোড়ারদীঘি সুড়িগড়িী এলাকায় নির্বাচনের অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে এক মাংস বিক্রেতার সাড়ে ৩ মন মাংস ও নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েগেছে দুবৃর্ত্তরা। নির্বাচন বানচালের পাশাপশি আ’লীগের জোর পুর্বক দখলকৃত নাড়–য়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল মুক্ত করে। নির্বাচন বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী নির্বাচন রির্টানিং কর্মকর্তা মুনিরা সুলতানা ও নির্বাচন কর্মকর্তা আবু সাঈদের সাথে এশাধিকবার চেষ্টাকরেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের কোন মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।