শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের সবুজ জমিনের মাঝে লাল সূর্যখচিত মানব পতাকাটিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ৪২তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলানগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মানব পতাকা তৈরি করা হয়। ৪ জানুয়ারী শনিবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ওই খবর প্রকাশ করা হয়।
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মানব পতাকা হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা গিনেজ বুকে বিশ্বরেকর্ড করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সকল উদ্যোক্তা এবং অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল জানান, প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দনের পাশাপাশি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই পতাকার মর্যাদা তরুণ প্রজন্ম সুমুন্নত রাখবে। বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
৪২তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলানগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এ মানব পতাকা তৈরি করা হয়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড পতাকাটি তৈরি করে। এতে ২৭ হাজার ১শ ১৭ জন অংশ নেন। বিশ্বরেকর্ডের জন্য মানব পতাকাটি ৫ মিনিট ধরে দেখানোর কথা থাকলেও তা ৬ মিনিট ১৪ সেকেন্ড প্রদর্শন করা হয়। মানব পতাকা তৈরিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও সেনা সদস্যরা অংশ নেন।
গিনেস কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত একটি প্রতিনিধি দল এ মানব পতাকা দেখে প্রতিবেদন দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ওই স্বীকৃতির খবরটি শনিবার কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও টুইটারে একযোগে প্রকাশ করে। এর আগে সবচেয়ে বড় মানব পতাকার রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের দখলে। ২০১২ সালে ২১ অক্টোবর লাহোরের জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব ইয়ুথ উৎসবে ২৪ হাজার ২শ মানুষ মানব পতাকা তৈরি করে ওই রেকর্ড গড়েন।