হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ টানা অবরোধ-হরতালের কারনে ঢাকা থেকে ইনসুলিন পরিবহনের গাড়ী না আসায় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ডায়বেটিক রোগীদের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ইনসুলিনের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় রোগীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।তাই ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার চেয়েছেন।

জানাযায়,গত এক সপ্তাহ ধরে হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে মিস্টার্ড-৩০,মিস্টার্ড-৪০,ইনসুলেটর,হিমুলিন,ম্যাক্সসুলিন-এন আর প্রভৃতি ইনসুলিন পাওয়া যাচ্ছেনা।ফলে ডায়াবেটিকসের রোগীরা চরম দূভোগে পড়েছেন।কেউ কেউ বিভিন্ন স্থানে খুঁজ করেও ইনসুলিন না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় হাসপাতাল চৌরাস্থার রাকিব ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা ফজলু মিয়া,দুলাল ফার্মেসির মাইনুল ইসলামসহ অনেকেই জানান,হরতাল-অবরোধের কারনে ঢাকা থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধের গাড়ী না আসায় গত এক সপ্তাহ যাবত চাহিদা থাকা সত্তেও ডায়াবেটিক রোগীদের ইনসুলিনসংকট দেখা দিয়েছে।ইনসুলিন ব্যাবহারকারী উপজেলার পুমদি গ্রামের কাজী মদ্দিন,ঢেকিয়া গ্রামের হানিফ মিয়া,পৌর এলাকার দুলার মিয়াসহ অনেকেই জানান,তারা নিয়মিত মিস্টার্ড-৩০ ও মিস্টার্ড-৪০ ইনসুলিন ব্যাবহার করে আসছেন কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে এসব ইনসুলিন না পাওয়ায় শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মতি মিয়া জানান,তিনি হোসেনপুরের কোথাও ম্যাক্সস্টার ইনসুলিন না পেয়ে এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ট্রেন যোগে ময়মনসিংহ থেকে দ্বীগুণ দাম দিয়ে ইনসুলিন সংগ্রহ করেছেন।
হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হেলাল উদ্দিন জানান,ডায়াবেটিক রোগীদের সময় মত ইনসুলিন গ্রহণ না করলে ডায়াবেটিকসের মাত্রা বেড়ে যায়এবং পাশ্ব প্রতিক্রিয়ায় অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত হয়ে পড়ে।অনেক ক্ষেত্রে যথা সময়ে ইনসুলিন না নিলে রোগীদের বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়,এমনকি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ ডায়বেটিক হাসপাতালের ইনসুলিন সংরক্ষণকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জে সমিতির আওতাভুক্ত রোগীরা এখান থেকে নিয়মিত ইনসুলিন সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে ইনসুলিন সংকট দেখা দেওয়ায় তারা বহিরাগত রোগীদের চাহিদা মত ইনসুলিন দিতে পারছেনা।
