রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় নাশকতা চালাতে পারে জামায়াত শিবির। এমন গুঞ্জন চলছে এলাকায়। এলাকাগুলো পাটাধোয়া পাড়া, চরনেওয়াজী, নয়াচর মন্ডল পাড়া, দিয়ারারচর ফকিরপাড়া ভোটকেন্দ্র অবস্থিত জামায়াত-শিবিরের ঘাটি। রাজীবপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতির বাড়ি ওই এলাকায়। এর আগে জামায়াত ইসলামির আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ প্রকাশ্যে ঘেষানা দিয়েছিলেন যে কোনো মূল্যে মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।
অনুসন্ধান চালিয়ে এবং আ’লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজীবপুর উপজেলা শহর থেকে মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পাটাধোয়া পাড়া সড়কের বাঁশের সেতু ভেঙ্গে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে। একই ভাবে চরনেওয়া ভোট কেন্দ্রের রাস্তা কেটে দেওয়া হতে পারে। নয়াচর মন্ডল পাড়া রাস্তা, দিয়ারার চর ফকিরপাড়া রাস্তায় বাধার সৃষ্টি করতে পারে এমন আশংকা করছে। অপরদিকে রৌমারী উপজেলার দাতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর ও হরিণধরা ভোট কেন্দ্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে জামায়াত শিবির।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (রৌমারী, রাজীবপুর, চিলমারী উপজেলার নয়াহাট, অষ্টমীচর ও উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন) মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৫ জন। ১শ’ ৬টি ভোট কেন্দ্র মোট বুথের সংখ্যা ৪শ’ ৬৬টি। প্রশাসন ঝুকিপুর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ৫০টি ভোট কেন্দ্র চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এ আসনে আ’লীগের জাকির হোসেন (নৌকা), জাতীয় পার্টি জেপি’র রুহুল আমিন (বাইসাইকেল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালিব (হাঁস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা রিটানিং অফিসার জানান, ঝুকিপুর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ২ অস্ত্রধারী পুলিশ, ১ অস্ত্রধারী আনসার, ১০ জন অস্ত্রবিহীন আনসার এবং একজন গ্রাম পুলিশসহ মোট ১৪ জন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৩শ’ সেনাবাহিনী, ৬ প্লাটুন বিজিবি, ৩৩ টি মোবাইল টিম, ২টি মোবাইল কোর্ট এবং ১শ ২ জন র্যাব সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক এবিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজীবপুরের মোহনগঞ্জ ও রৌমারীর দাতভাঙ্গা এলাকায় কঠোর নিরাপত্তামূলক অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।