আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে ওয়াজ মাহফিলে বেড়াতে গিয়ে জিসান নামের মাত্র ৭ বছর বয়সের এক শিশু পুত্র অপহরনের পর মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৫ দিন পর ৩ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে একটি পুকুর পাড় থেকে পুলিশ জিসানের মৃতদেহ উদ্ধার করে । জিসান উপজেলার মুরইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র ও নশরতপুর ইউপির সাবেক মেম্বার ও ইট ভাটা ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বুলুর ছোট ছেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজিজার রহমান সহ ২ জনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, ইট ভাটা ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বুলু মুরইল বাজারে স্ব-পরিবারে বসবাস করে। সাওইল গ্রামের বাড়ীতে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে, এ জন্য কয়েক দিন পূর্বে সন্তান সহ স্ব-পরিবারে বাড়ীতে যান। গত ২৯ ডিসেম্বর বাড়ীর পাশে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। সন্ধ্যার পর ওই ওয়াজ মাহফিলে শিশু জিসান তার সহ পাটীদের সাথে বেড়াতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়। এর পর থেকে জিসানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন মোবাইল ফোনে জিসানকে ছেড়ে দেয়ার জন্য তার পিতার নিকট প্রথমে ৫০ লাখ ও পরে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করা হয়। এ ভাবে কথা চালাচালির এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার সকালে মুরইল দারুল উলুম কওমী মাদরাসার নিকট ঈদগাহ পুকুর পাড়ে অর্ধ ডুবন্ত অবস্থায় জিসানের লাশ দেখতে পায় মাদরাসার ছাত্র শকিল। পরে থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে বগুড়া প্রেরন করেন। মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে শিশু জিসানকে স্বাশরোধে হত্যা করে উল্লেখিত স্থানে ফেলে রাখা হয় বলে পুলিশের ধারনা।