মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মহম্মমদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে স্বামীর নির্যাতনে স্বপ্না বেগম নামের (২৬) এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর বাবা চাঁন মিয়ার অভিযোগ করে বলেন, রাতভর শারিরীক নির্যাতনের পর তার মেয়েকে মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কাউকে না জানিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে বলে দ্রæত দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
গৃহবধূর পিতা চাঁন মিয়া জানান, ছয় বছর আগে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শফি শেখের পুত্র নাজমুল শেখের সাথে একই উপজেলার কমলধরী গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে স্বপ্না বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়েরপর থেকেই যৌতুকের জন্য তার উপর চলত নির্মম নির্যাতন। কয়েক কিস্তিতে তিনি যৌতুকের টাকা পরিশোধও করেছেন। তারপরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এক পর্যায়ে স্বপ্না স্বামীর বাড়ি ছেড়ে গিয়ে মাগুরার নারি নির্যাতন আইনে আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। কয়েক বছর মামলা চলার পর আদালতের উদ্যেগে আপোষ করে ছয় মাস আগে সে পুনরায় স্বামীর ঘরে ফিরে আসেন।
স্বামীর ঘরে আসার পর স্বপ্নার উপর আবার শুরু হয় নির্য়াতন। ঘটনার সময় রাতে স্বামী নাজমুল স্বúœার উপর নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে সে গ্রামের মাতুব্বর জালাল মোল্যা ও আরিফ মোল্যাকে ডেকে আনে। তারা তিনজন মিলে স্বপ্নার উপর শারিরীক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের পর সে মারা গেলে তাকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। গ্রাম্য মাতুব্বরদের সহায়তায় গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে বলে প্রচার করে তড়িঘড়ি করে দাফনের উদ্যেগ নেওয়া হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
গৃহবধূর বাবা চান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, রাতভর শারিরীক নির্যাতন করে তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে এ ঘটনার বিচার চান।
এই বিষয়ে গ্রাম্য মাতুব্বর মাতুব্বর জালাল মোল্যা ও আরিফ মোল্যা বলেন, আমরা বিবাদ মেটাতে গিয়ে না পেরে চলে যাই।
মহম্মদপুর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে।