তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিলা : নির্বাচনের আর মাত্র বাকী ২ দিন। আগামী ৫ জানুয়ারী রোববার অনুষ্ঠিতব্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কুমিলা জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৬টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৫টি আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা বে-সরকারী ভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৬টি আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৪৯টি, এর মধ্যে ৪৩৯টি কেন্দ্রেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত করেছেন নির্বাচন কমিশিন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাযায়- কুমিলা সদর আসনে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের তালিকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে কুমিলা সদরে ৮৯টি, দাউদকান্দিতে ৩৫টি, মেঘনায় ১৪টি, মুরাদনগরে ৭৮টি, দেবিদ্বারে ৪৬টি, বুড়িচংয়ে ৪০টি, ব্রা²নপাড়ায় ৫৪টি, লাকসাম ৪৯টি এবং মনোহরগঞ্জে ৩৪টি। ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র গুলোতে ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে সে জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্ততার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ সেসব কেন্দ্রে নজরদারী বেশি থাকবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে। ইতিমধ্যে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ব্যালট পেপার কুমিলায জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ব্যালট পেপার সহ নির্বাচনি সরঞ্জামাদিও জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে পৌছে গেছে বলে সূত্র নিশ্চেত কলেছেন। শীঘ্রই এসব ব্যালট পেপার উপজেলা পর্যায়ে পৌছানো হবে। সূত্র জানায়, উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সচ্চ ব্যালট বাক্স মজুত রয়েছে। নতুন ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচন অফিস থেকে আরো প্রায় ১ থেকে ১৫০ স্বচ্চ ব্যালট বাক্স সরবারহ করা হবে। এদিকে গত ২৬ডিসেম্বর থেকে কুমিলার সবক’টি উপজেলায় প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে নগরীতে টহল দিচ্ছে সেনা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে রয়েছে সতর্ক।