মঙ্গলবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

তানোরে হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে ছিন্নমূল মানুষ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩ ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

winter dayইমরান হোসাইন, তানোর : রাজশাহীর তানোরে পৌষের মাঝামাঝি সময়ে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে টপটপ করে শিশির পড়া শুরু হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। এঅবস্থায় জবুথবু হয়ে পড়েছে এউপজেলার মানুষ। গত তিনদিন ধরে সূর্যের মূখ দেখা যায়নি বললে ভুল হয় না। কেবল মাত্র বেলা দেড়টার দিকে সূর্য্য দেখা গেলেও বিকেল হওয়ার সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে। এরপর থেকে শুরু হচ্ছে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে শিশির পড়া।

Shamol Bangla Ads

এনিয়ে উপজেলার শুকদেবপুর গ্রামের স্বামী হারা অসহায় বৃদ্ধ নারী ছবি বেওয়া ও জাহানারা জানান, তাদের বয়স সত্তরের (৬০) কোটায়। এই বৃদ্ধ বয়সে তারা অভাবের তাড়নায় শীত নিবারণের জন্য তেমন কোন গমর কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারেন নি। একারণে এই হাড় কাঁপানো শীতে পরণের কাপড়টুকুই তাদের সম্বল। প্রচন্ড শীতে তারা এভাবেই দিন পার করছেন। গত সোমবার সকালে ওই দুই বৃদ্ধ নারীর সঙ্গে কথা হলে তারা শীতের তীব্রতার কথাগুলো বলতে বলতে পরিশেষে এভাবেই তারা বললেন পৌষ মাসের শীতেই বাচি না এবার মাঘের শীতে মনে হয় মরে যাব। শুধু ছবি বেওয়া ও জাহানারা নয় তাদের মত তানোরের হাজারো তৃণমূল নারী-পুরুষ প্রচন্ড এই শীতে কাতরাচ্ছেন। শীত নিবারণের কোন ব্যবস্থা নেই তাদের।

জানা যায়, এবারের এই শীতে পুরো উপজেলার হাজারো অসহায় ও দুস্থ নারী-পুরুষ প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছেন। এঅবস্থায় সরকারের পাশাপাশি ধনাঢ্য ব্যক্তি কিংবা বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা এই শীতার্থ মানুষের পাশে দাঁড়াই নি। এতটুকু তাদের কোন সহায়তা মিলে নি। শীতে তাদের প্রায় জুবু থুবু অবস্থা কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কেউ তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেনি।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় হাজারো শীতার্ত বৃদ্ধ নারী-পুরুষদের শীতে কাঁপতে দেখা যায়। তানোর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় সর্বত্রই চলছে শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া। ফলে, উপজেলার প্রায় এলাকায় নিমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্টের স্বীকার হচ্ছে শিশুসহ বৃদ্ধরা। আর এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে তানোর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শতশত মানুষ।
শুধু শিশুরা নয় এসব ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্কোরাও। পৌষ মাসের শুরুতেই তীব্র শীত, হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধরা ছাড়াও ছিন্নমূল মানুষ। একারণে থেমে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ সকাল-সন্ধ্যায় তীব্র শীতের কারণে খড়কুটো দিয়ে আগুন জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে দেখা গেছে, এমন দৈন্য চিত্র। এছাড়া উপজেলা পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও তীব্র শীত ও শৈতপ্রবাহের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, শীত বস্ত্রের অভাবে তারা কষ্ট পেলেও স্থানীয়ভাবে শীতবস্ত্র প্রদানের জন্য তাদের কাছে কেউ এগিয়ে আসেননি। সকাল সন্ধ্যায় আগুন জ্বালিয়ে এবং রাতের বেলা ধানের খড় ও খেজুর পাটি বিছিয়ে তারা শিশুদের নিয়ে শীত থেকে পরিত্রাণ লাভের চেষ্টা করছেন। শীত থেকে দরিদ্র মানুষকে রক্ষার জন্য তারা প্রশাসনসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা, দানশীল ব্যক্তি ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।
এনিয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজেদা ইয়াসমীনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!