দিঘলিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা : দিঘলিয়ায় একজনকে নির্যাতন করে হত্যা। অভিযোগ থানা পুলিশের দিকে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের বারাকপুর বাজার সংলগ্ন মৃত আঃ বারেক মোল্যার পুত্র কেসমত মোল্যা (৪৮) দীর্ঘদিন ধরে ভারতের দিলিতে বসবাস করত। সপ্তাহ খানেক আগে বাংলাদেশে নিজ গ্রাম বারাকপুরে আসে। সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মকবুল হোসেন দিঘলিয়া থানার ২ জন পুলিশকে সাথে নিয়ে কেসমতের বাড়িতে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে ওঠায় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলে থানায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনের নিকট নিয়ে তাকে মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রাম পুলিশ ও তার সাথে থাকা দিঘলিয়া থানা পুলিশ কেসমতকে বারারকপুর বাজারের হেমায়েত ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। সেখানে ডাঃ তার আবস্থা আসংখ্যা জনক দেখে কেসমতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সেখান থেকে তারা তাকে একটি ভ্যানে করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ফার্মাসিষ্ট তাপস কুমার তাকে দেখে মৃত ঘোষনা করে। এ সময় গ্রাম পুলিশ মকবুল হোসেন থানায় যাওয়ার কথা বলে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে রাতের কোন এক সময় ভ্যানে করে কেসমতের লাশ তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে ভ্যান ওলায়া পালিয়ে যায়। কেসমতের পরিবারের লোকজন বাড়ির পাশ থেকে রাত ১২ টার দিকে কেসমতের লাশ উদ্ধার করে। এদিকে আজ সকালে এ এস পি ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন এবং লাশটি ময়না তদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
