ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ- ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্ট্রির মরহুম ব্যবসায়ী সরদার শামসুল আলমের বাসা থেকে তার স্ত্রী মোর্শেদা আলমের ২২ ডিসেম্বর চুরি হওয়া ৭৩.৫ ভরি স্বর্ন এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে চুরির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার দুই আসামী মোর্শেদা আলমের মেয়ে টিশা ও তার স্বামী আদিলকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এই মামলার অন্য দুই আসামী মোর্শেদা আলমের মেয়ে এলিজা ও ডায়না পলাতক রয়েছে। মামলায় মোর্শেদা আলম অভিযোগ করেছেন গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধায় তার চার মেয়ে ও এক মেয়ের জামাই বাসায় বেড়াতে এসে তার বড় ছেলে সেজানের ওয়াল কেবিনেট ভেঙ্গে ৭৩.৫ ভরি স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। মেয়েরা ও এক মেয়ের স্বামী বাসা থেকে চলে যাবার পরে তিনি দেখতে পার তার ছেলের ওয়াল কেবিনেট ভাঙ্গা এবং তার মধ্যে রাখা সর্ন্বালংকার নেই। এতে তিনি নিশ্চিত হন তার মেয়েরাই ও জামাই আদিল এ কাজ করে চলে গেছে। ঘটনার পরেই আদিল তার স্ত্রী টিশাকে নিয়ে ঢাকায় পারি জমায়। শুক্রবার পুলিশ আদিল ও তার স্ত্রী টিশাকে ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে ঝালকাঠি নিয়ে আসে। এলিজা ও ডায়না এখনও পলাতক রয়েছে। মোর্শেদা আলম সাংবাদিকদের বলেন, আদিলই হচ্ছে এই চুরির নাটের গুরু। ২০০৫ সালে টিশার বয়স যখন ১৪ বছর তখন একই এলাকার হাফিজ তালুকদারের বখাটে ছেলে আদিল টিশাকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপরে টিশাকে আবার উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। পরে ২০০৬ সালে আবারো আদিল টিশাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এরপর পরিবারের পক্ষ হতে টিশার সাথে আর যোগাযোগ রাখা হয়নি। টিশাকে বিয়ে করার পর হতেই টিশার ভবঘুরে স্বামী আদিল আমার সম্পত্তি আত্বসাতের চেষ্টা করতে থাকে। আদিল আমার অন্য তিন মেয়ে এলিজা (১৬), সেলি (১৮) ও ডায়নাকে ও (২০) হাত করে ফেলে। তারা এখন আদিলের কাছেই থাকে। আদিল আমার মেয়েদের হাত করে ২০১০ সালে আমার সম্পত্তি পাবার জন্য আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করে। কিন্তু আমার মেয়েরা তখন নাবালক থাকায় আদালতে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। এরপরেও আদিল তার ষড়যন্ত্র অব্যহত রাখে। মোর্শেদা আলম আরো বলেন, এতকিছুর পরেও আমার ছেলে সেজান ও জেহানকে না জানিয়ে আমি মেয়েদের সাথে সম্পর্ক রাখতে চাই। আমি আদিলের কাছে থাকা আমার মেয়েদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি। গত ২২ ডিসেম্বর তিন মেয়ে আদিল ও টিশার সাথে এসে বলে তারা আমার কাছেই থাকবে। আমি তাদের আপ্যায়নও করাই। কিন্তু তারা বাসা থেকে স্বর্ন চুরি করে পরে আবার আসবে বলে চলে যায়। মোর্শেদা আলম বলেন নিজের মেয়ে হয়েও তারা এই ধরনের একটি চুরি সংগঠিত করবে তা আমি কখনও ভবিনি। তাই তারা বাসার কোন্ রুমে যাচ্ছে বা কি করছে সে বিষয় আমি সর্তক হয়নি। এদিকে থানায় বসে সাংবাদিকদের টিশা বড় ছেলে সেজান সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন মোর্শেদা আলম। মোর্শেদা আলম বলেন, আমার ছেলে সেজানের কারসাজিতে কোন মামলা হয়নি এবং সেজানের সম্পত্তি আত্বসাতেরও কোন ইচ্ছা নেই। টিশা সেজানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে যা বলেছে তা ও সঠিক নয় বলে জানান মোর্শেদা আলম। মোর্শেদা আলম তার চুরি হওয়া স্বর্ন যাতে উদ্ধার করা যায় সে ব্যাপারে প্রশাসেনর আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।