সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ সহ পুরো দেশে রবিবার ও সোমবার আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ছিল উলাপাড়ার মেয়ে বিএনপি নেত্রী এ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান। ২৯ডিসেম্বর আঠারদলীয় জোটের ডাকা মার্চফর ডেমোক্রেসি আন্দোলনে বিএনপি সহ আঠারদলীয় জোটের হেভীওয়েট অনেক শীর্ষ নেতা মাঠে না নামলেও জাতীয় প্রেসক্লাব ও সুপ্রিম কোট এলাকায় শত বাধা বিপত্তীকে উপেক্ষা করে মাঠে নামা বিএনপি সমর্থক সাংবাদিক ও আইনজীবীদের উপর হামলার দৃশ্য তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে দিনভর দেশবাসী সরাসরি দেখেছে বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়ায়। সোমবার মার্চফর ডেমোক্রেসিতে যোগদিতে গিয়ে সুপ্রিম কোট এলাকায় পুলিশ ও সরকার দলীয় ক্যাডারদের হাতে বর্বর নিযাতনের ছবি বিভিন্ন ইলেট্রিক ও প্রিন্ট মিড়িয়ায় ফলাও করে প্রচারে পর পুরো দেশবাসীর কাছে আলোচনায় উঠে এসেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেত্রী সিমকী ইমামের নাম।
২৯ডিসেম্বর এ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম সুপ্রিম কোট থেকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের সাথে জাতীয় পতাকা হাতে মার্চফর ডেমোক্রেসিতে যোগদিতে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে সুপ্রিম কোটের মধ্যে অবরুদ্ব হয়ে পড়েন। সেখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশের জলকামান,সাউন্ড প্রেনেড উপেক্ষা করে সুপ্রিম কোটের গেট থেকে বার বার বের হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয় আইনজীবীরা। ওই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল উল্লাপাড়ার মেয়ে এ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান। মুহু মুহু শ্লোগান আর সুপ্রিম কোটের গেট টপকিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে আইনজীবীরা। পরে পুলিশ সুপ্রিম কোটের প্রধান গেটের তালা খুলে দিলে সরকার দলীয় সশস্ত্র ক্যাডাররা সেখানে প্রবেশ করে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বোরচিতভাবে সিমকী ইমাম সহ আইনজীবীদের উপর হামলা চালায়। এসময় সশস্ত্র হামলাকারীদের এলোপাথারী লাঠি,কিল-ঘুষি ও লাথির আঘাতে গুরুতর আহত হয় সে। এসময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা সিমকী ইমামকে উদ্বার করে। সিমকী ইমামের উপর সরকার দলীয় ক্যাডারদের বর্বোরচিত হামলার দৃশ্য রোববার দিনভর বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়া ও সোমবার দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশের পর সিমকী ইমামের জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সহ পুরো দেশবাসীর কাছে আলোচনায় উঠে এসেছে সিমকী ইমামের নাম। বিএনপি চেয়ারপার্সনের ডাকে সাড়া দিয়ে মাঠে নেমে নির্যাতিত হয়ে দেশবাসীর কাছে তিনি আন্দোলন কন্যা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। এ্যাডভোটে সিমকী ইমাম ১৯৭০সালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নেওয়রগাছা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকার যুগ্ন সম্পাদিকা হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। সিমকী ইমাম তার জন্ম স্থান সিরাজগঞ্জ-৪,উল্লাপাড়া আসন থেকে বিএনপির মনোণয় প্রত্যাশী। এখানে তিনি বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন সহ সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে প্রচারনা চালিয়ে আসছেন।
উল্লেখ্য স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সময় ঢাকায় সচিবালয় ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় উল্লাপাড়ার সন্তার নাজির উদ্দিন জেহাদ। জেহাদের লাশ ছুয়ে সেদিন দেশের দুনেত্রী একত্রে আন্দোলন সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিল। সে থেকে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর শহীদ জেহাদ দিবস হিসাবে পালন করা হয়। জেহাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র অর্জিতের পর উল্লাপাড়াবাসী খুশি হয়েছিল। এবারও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে মার্চ পর ডেমোক্রেসিতে যোগদিয়ে সরকার দলীয় ক্যাডারদের হাতে বর্বর নির্যাতনের শিকার উল্লাপাড়ার মেয়ে এ্যাডভোকেট সিমকী ইমামের ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় জেহাদের পর গণতন্ত্র রক্ষায় নির্যাতিত হিসাবে সিমকী ইমামের নাম উঠে এসেছে। সোমবার দিনভর উল্লাপাড়া ও সিরাজগঞ্জের মানুষের কাছে সিমকী ইমামের নির্যাতনের বিষয়টি ছিল মুখে মুখে। শহর থেকে অজোপাড়া গায়ের চায়ের ষ্টল পর্যন্ত সাধারন মানুষের মাঝে বলাবলি হয়েছে দেখিয়ে দিয়েছে উলাপাড়ার বেটি।